বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় আমার পরিবারের জমি নেই: দীপু মনি

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৮

মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। পৈতৃক সূত্রে থাকতে পারে। আমার কাছে যা তথ্য-প্রমাণ আছে, তা থেকে বলতে পারি আমার বড় ভাই অধিগ্রহণের আগেই বিক্রি করে দেন।’

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জায়গায় নিজ পরিবারের কারও জমি নেই বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে তার পরিবার ও স্বজনদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে এ দাবি করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। পৈতৃক সূত্রে থাকতে পারে। আমার কাছে যা তথ্য-প্রমাণ আছে, তা থেকে বলতে পারি আমার বড় ভাই অধিগ্রহণের আগেই বিক্রি করে দেন।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জায়গায় আমার বা পরিবারের কারও জমি নেই। রাজনৈতিক কোনো সহকর্মীর জমি থাকতে পারে।’

অভিযোগ উঠেছে, জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে সেখানে মৌজা দরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দাম দেখিয়ে জমি দলিল করেছেন কয়েকজন। এ কারসাজিতে জড়িতদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নিকটাত্মীয়ও রয়েছেন।

গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রকাশিত তথ্যকে উদ্দেশ্যমূলক বলেও মন্তব্য করেন দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের কেউ কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অন্য কেউ দুর্নীতি করেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

দলীয় এক সংসদ সদস্যের প্রতি ইঙ্গিত করে দীপু মনি বলেন, ‘তার প্রতি গণমাধ্যমে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার দলীয় ফোরামে বলবো।

‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করলে প্রশ্ন দেখা দেবে। তাই অন্য কেউ তদন্ত করলে ভালো হয়। আমিও চাই তদন্ত হোক।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর শহর, ভাঙনের কারণে অনেক ছোট ও অনেক ঘনবসতিপূর্ণ। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো সমস্যা হলে হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবেচনায় আমরা জমিটি পছন্দ করি।

‘এ ছাড়াও আমরা যখন জমি পছন্দ করি তখন এর সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত ছিলেন। এই জমির সঙ্গে টেকসই বাঁধ রয়েছে। জায়গাটি নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ও ছাড়পত্র দিয়েছিল।’

চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজের বিষয়েও একই সমস্যার কথা অনেকে জানিয়েছেন বলে জানান দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আসলে যখনই কোনো বড় প্রকল্প শুরু হচ্ছে তখনই এমন বাধা আসছে।’

এ বিভাগের আরো খবর