দিল্লির রাস্তায় এক তরুণীকে চুল কেটে, মুখে কালি লেপ্টে জুতার মালা পরিয়ে হাঁটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এতে দেখা যায়, ওই তরুণীকে ঘিরে উল্লাস করছে একদল নারী। নগরীর কস্তুরবা নগরের বিবেক বিহার এলাকায় গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নজরে আসে দিল্লি পুলিশের। দ্রুত পদক্ষেপ নেয় তারা। ভিডিও দেখে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে চারজনকে। তারা সবাই নারী। জড়িত বাকিদের ধরতে চলছে অভিযান।
দিল্লি কমিশন ফর উইম্যান প্রধান সাতি মালিওয়াল দেখা করেছেন ওই তরুণীর সঙ্গে। পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ওই তরুণীর বয়স ২০। স্থানীয় কিছু অবৈধ মদ কারবারি তাকে ধর্ষণ করে। তারপর মাথা মুড়িয়ে, মুখে কালি লেপ্টে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে রাস্তায় তাকে হাঁটানো হয়।
‘যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। সেই সঙ্গে তরুণী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে দিল্লি পুলিশকে।’
তরুণীর বরাতে দিল্লি কমিশন ফর উইম্যানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় তিন মাদক কারবারি তাকে ধর্ষণ করে। সেখানে উপস্থিত থাকা কয়েকজন নারী ধর্ষণকারীদের উৎসাহ দিচ্ছিলেন।
ধর্ষণ শেষে তাকে বেদম পেটানো হয়। কেটে দেয়া হয় মাথার চুল। এরপর মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুরো এলাকায় ঘোরানো হয়।
এ ঘটনায় দিল্লি পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানাতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে নারী সংগঠনটি।
ওই তরুণীর বোন জানান, প্রতিবেশী এক তরুণ তার বোনকে ভালোবাসতেন। গত নভেম্বরে ওই তরুণ আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার জন্য তরুণীকে দায়ী করে আসছে তরুণের পরিবার।’
দিল্লির পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘এক তরুণীকে অপহরণ, হেনস্তা ও হুমকি দেয়ার তথ্য পেয়েছি। আমরা ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছি। মেডিক্যাল টিম তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে, কাউন্সিলিং চলছে। বুধবারই চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী। অভিযুক্তরা বলছেন, ওই তরুণীর জন্যই তাদের সন্তান আত্মহত্যা করেছেন।’
ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।