বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রামীণফোনের আয় ১৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৫

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘২০২১ সালে গ্রামীণফোন বেশ কিছু মাইলফলক অর্জন করেছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমরা আট কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করি এবং মার্চে ১০.৪ মেগাহার্টজ নতুন তরঙ্গ অধিগ্রহণ করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে গ্রামীণফোন দেশজুড়ে এর শতভাগ টাওয়ার সবচেয়ে বিস্তৃত ফোরজি/এলটিই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করে, যা গ্রামীণফোনের জন্য অত্যন্ত সম্মানের।’

২০২১ সালে ১৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। এই আয় আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

২০২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২১ সালে গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছেন ৪২ লাখ নতুন গ্রাহক। সব মিলিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেলিকম খাতের প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৩ লাখ। মোট গ্রাহকের ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৪ কোটি ৪৬ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেন, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ শতাংশ।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘২০২১ সালে গ্রামীণফোন বেশ কিছু মাইলফলক অর্জন করেছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমরা আট কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করি এবং মার্চ মাসে আমরা ১০.৪ মেগাহার্টজ নতুন তরঙ্গ অধিগ্রহণ করি। মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে গ্রামীণফোন দেশজুড়ে এর শতভাগ টাওয়ার সবচেয়ে বিস্তৃত ফোরজি/এলটিই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করে, যা গ্রামীণফোনের জন্য অত্যন্ত সম্মানের।’

‘এর মাধ্যমে গ্রামীণফোন ক্ষমতায়নে এবং দেশের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। বছরজুড়ে আমরা নেটওয়ার্ক বিস্তার ও তরঙ্গ ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিই, যার ফলে আমাদের গ্রাহকরা আরও উন্নত অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এ ছাড়া কার্যক্রমগত পরিচালন, গ্রাহককেন্দ্রিক পণ্য বিন্যাস, সেবার ডিজিটালকরণ এবং ডিজিটাল সক্ষমতার ফলে আরও বেশিসংখ্যক গ্রাহক তাদের পছন্দের ডিজিটাল ও টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা হিসেবে গ্রামীণফোনকে বেছে নেন।’

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘৮ কোটি ৩৩ লাখ গ্রাহক নিয়ে আমরা ২০২১ সাল শেষ করি, যা গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আগের বছরের তুলনায় ডাটা ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ শতাংশ। ফোরজি ডাটা ব্যবহারকারী বেড়েছে ৭৯ লাখ, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯-এর সর্বোচ্চ ঢেউ ও পরবর্তী সময়ে লকডাউনসহ চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত বছর নানা ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কর্মী, পার্টনার, অংশীজন এবং স্থানীয় কমিউনিটির রেজিলিয়েন্সের কারণে আমরা নিরলসভাবে আমাদের গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করতে পেরেছি।’

‘আমাদের কৌশলগত লক্ষ্যের অংশ হিসেবে, আমাদের গ্রাহকদের অত্যাধুনিক মোবাইল সেবার পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে আমরা রূপান্তরমূলক উদ্যোগ গ্রহণ ত্বরান্বিত করেছি এবং এর বিস্তৃতি ঘটিয়েছি। পরিচালন মডেল, অটোমেশন একীভূতকরণ, দক্ষতার উন্নতি ও সক্ষমতা তৈরিতে গুরুত্বারোপ করে এ বছর আমরা আধুনিকায়নকে মূল বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেছি। দক্ষতা, সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় টুল ব্যবহারের সঠিক সমন্বয় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকভাবে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।’

গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার (সিএফও) বলেন, ‘নেটওয়ার্ক ও অভিজ্ঞতা উন্নত করার কারণে বেশিসংখ্যক ব্যবহারকারী ও ব্যবহারের ফলে ২০২১ সালে গ্রামীণফোনের আর্থিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে। পুরো বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালে নিট মুনাফা মার্জিন দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ।’

আরও ১২ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা

গ্রামীণফোনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের জন্য প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা চূড়ান্ত লভ্যাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে মোট লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে পরিশোধিত মূলধনের ২৫০ শতাংশ, যা ২০২১ সালের মোট কর-পরবর্তী মুনাফার ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ (১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশসহ)।

রেকর্ড তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত যারা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন তারা এই লভ্যাংশ পাবেন; যা ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করবে।

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ (প্রতি শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা) লভ্যাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি, যা শেয়ারহোল্ডারদের বিও হিসাবে জমাও হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৬৫৪ কোটি টাকা নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও বিস্তৃতিতে বিনিয়োগ করেছে। গ্রামীফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০১। প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ ১০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর