মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সাংসদপুত্রের যাওয়া-আসাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
উপজেলার নয়াকান্দি সরকারি বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দ্রুত র্যাব, দাঙ্গা পুলিশ, ডিবিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের আশ্বাস দেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান জানান, রাজৈর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে নয়াকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান খান তার লোকজন নিয়ে ওই কেন্দ্রে যান।
নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম শাহিন চৌধুরীর পক্ষে তার ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের প্রার্থী মহাসিন মিয়ার সমর্থক মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে সুমন শেখ ও এনামুল হককে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং হারুন চৌধুরী, রিপন শেখ ও সাগর হোসেন উজির স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে এমপিপুত্র আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমি পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলাম। তখন কিছু লোকজন আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে। পরে আমি বিষয়টি বুঝে তাদের শান্ত করেছি। এমন ঘটনা আশা করিনি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন চাই। তবে কিছু দুষ্কৃতিকারী বিষয় অন্যভাবে নিয়েছে।’
তবে মহাসিন মিয়ার সমর্থক মিজানুর রহমান জানান, ‘আসিব খান তার লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতর ঢুকে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমরা বাধা দিলে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এমপিপুত্রের এমন ব্যবহার খুবই কষ্টদায়ক।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান আরও জানান, ‘মাদারীপুর জেলা প্রশাসকসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েক মিনিট ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল।’