বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে খোলাবাজারে করোনা ভ্যাকসিন

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:০৪

ভারতে খোলাবাজারে বিক্রির অনুমোদন দিলেও কোনো ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে না ওইসব ভ্যাকসিন। আপাতত তা হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে কিনতে হবে। প্রতি ডোজের দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা।

ভারতে সহজলভ্য হতে চলেছে করোনাভাইসের ভ্যাকসিন। শুধু টিকাকরণ কেন্দ্র নয়, খোলাবাজারেও কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের মতো টিকা পাওয়া যাবে। শর্তসাপেক্ষে বাজারে টিকা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। তবে সবাই সেই ভ্যাকসিন কিনতে পারবে না।

শর্তের অধীনে, সংস্থাগুলোকে চলমান ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ডেটা জমা দিতে হবে এবং টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য নিয়মিত সরবরাহ করতে হবে ভ্যাকসিনগুলো। টিকাদানের পর প্রতিকূল ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা অব্যাহত থাকবে।

তবে এখনই ভারতে কোনো ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে না ওইসব ভ্যাকসিন। আপাতত তা হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে কিনতে হবে।

এতদিন পর্যন্ত ভারতে কেবল টিকাকরণ কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হতো। সাধারণ মানুষ চাইলেও টিকা কিনতে পারত না। এতদিন পর্যন্ত ভারতে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এই দুই টিকায় অনুমোদন দিয়েছিল ডিসিজিআই। তবে এবার পূর্ণ অনুমোদন মিলল, যা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর জন্যও স্বস্তির খবর।

বাজারে টিকা বিক্রির অনুমোদন দেয়ার জন্য কোভ্যাক্সিনের উৎপাদক ভারত বায়োটেক ও কোভিশিল্ডের উৎপাদক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তথ্য দেয়া হয়েছিল ডিসিজিআই-কে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখে বাজারে বিক্রির অনুমোদন দেয়া হলো।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর ভ্যাকসিন খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদন চেয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের অন্যতম কর্তা প্রকাশ কুমার ঝা। এ ছাড়া ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে আবেদন জানিয়েছিলেন ডিরেক্টর ভি কৃষ্ণ মোহন। কোভ্যাক্সিনের রসায়ন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে পাওয়া তথ্য সবটাই জমা দেয়া হয়েছিল। সে সব তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিসিজিআই’র বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকরা জানান, এতদিন পর্যন্ত জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য শুধু টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। প্রতি ১৫ দিন অন্তর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য দিতে হতো ডিসিজিআই-কে।

ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে ১৬৪ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই টিকাগুলোর কার্যকারিতা রয়েছে এবং এগুলো নিরাপদ। তাই এবার টিকাগুলো বাজারে বিক্রি নিরাপদ বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের দাম কমতে পারে প্রতি ডোজ়ের দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত পরিষেবা চার্জ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র প্রতিবেদন বলছে, করোনার এই দুই ভ্যাকসিনের দাম কমানোর বিষয়টি ডিসিজিআই’র কাছে পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটিকে ইতোমধ্যে দাম নির্ধারণে কাজ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর