বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রান্তিক প্রতিবেদনের আগে পুঁজিবাজারে ধীরগতি

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৩৮

বৃহস্পতিবার লেনদেন শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে দরপতন হওয়ার কোম্পানির সংখ্যা ছিল বেশি। লেনদেনে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। কমেছে ১৮৪টি কোম্পানির। দর আগের দিনের মতোই আছে ৫৫টি কোম্পানির।

পুঁজিবাজারে চলছে বিভিন্ন কোম্পানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের মৌসুম। গত বছরের জুনে যেসব কোম্পানির অর্থবছর শেষ হয়েছে সেসব কোম্পানি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করছে, আর ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কোম্পানিগুলো চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে লভ্যাংশ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানাবে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক চিত্র উঠে আসে এসব প্রান্তিক প্রতিবেদনে। এর ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেন কোনো কোম্পানিতে নতুন বিনিয়োগ করবেন কি করবেন না।

এ সময় পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগের চিত্র যেমন উঠে আসে, তেমনি বিনিয়োগের মন্দাতে থাকা কোম্পানিগুলোর চিত্রও উন্মোচিত হয়। আর ওই সময়টাতে সূচকের উত্থান-পতনই থাকে বেশি। গত ২০২০ সালের জানুয়ারিতেও এ রকম চিত্র দেখা যায়।

গত বছরের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৯ কর্মদিবসের লেনদেনে মাত্র ১০ দিন সূচক বেড়েছিল। সে সময় সূচক ছিল সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টে। আর লেনদেন ছিল সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা। চলতি বছরের একই সময়ে ১৪ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে। লেনদেন উঠেছে ১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার।

চলতি সপ্তাহের ৫ কর্মদিবসের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএইএক্স কমেছে ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট। সূচক দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৭ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের চার দিনই কমেছে প্রধান এই সূচক।

সপ্তাহের শুরুর দিন রোববার সূচক কমেছিল ৩২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। সোমবার সূচক কমেছে ৫৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। মঙ্গলবার সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। বুধবার কমেছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট।

শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রিতে চাপ বেশি থাকলেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ১০৩ কোটি টাকা। এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

এদিন লেনদেন শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে শেয়ার দর পতন হওয়ার কোম্পানির সংখ্যা ছিল বেশি। লেনদেনে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৮৪টি কোম্পানির। দর আগের দিনের মতোই আছে ৫৫টি কোম্পানির।

বৃহস্পতিবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের, ৭৭ শতাংশ। এ ছাড়া সাধারণ বিমা খাতের ২৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

আগের দিন নন ব্যাংক আর্থিক খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও বৃহস্পতিবার সে ধারা থেকে বেরিয়ে গেছে। লেনদেনে এ খাতের ৩২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

যেসব কোম্পানির দরপতনে সূচক কমেছে

বৃহস্পতিবার লেনদেনে গ্রামীণফোনের শেয়ারদর ১.১৩ শতাংশ পতনে সূচক কমছে সবচেয়ে বেশি ৮.৪৪ পয়েন্ট। এ ছাড়া বিকনফার্মার ৪.৪৬ শতাংশ শেয়ারদর কমায় সূচক কমেছে ৪.১৫ পয়েন্ট।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারদর ২.৪৫ পয়েন্ট কমেছে, কোম্পানির শেয়ারদর দশমিক ৪৪ শতাংশ কমায়। বাজার পেইন্টের শেয়ারদরের কারণে সূচক ১.৪৬ পয়েন্ট কমেছে। পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারদর ১.৬৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ১.৩৪ পয়েন্ট।

এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট, স্কয়ার টেক্সটাইলের দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির দশমিক ৯১ পয়েন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের দশমিক ৮৫ পয়েন্ট ও বিএসআরএম স্টিলের ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। এদিন সার্বিকভাবে সূচক কমেছে দশমিক ৮২ পয়েন্ট।

যেসব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে আইসিবি, ন্যাশনাল লাইফ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিলিভার কনজ্যুমার, বেক্সিমকো ফার্মা, আরএকে সিরামিক, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ফারইস্ট লাইফ।

দর বৃদ্ধির ১০ কোম্পানি

প্রকৌশল খাতের বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমের শেয়ারদর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেড়েছে। দর বৃদ্ধিতে ২০ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ২২ টাকায়।

এ ছাড়া সদ্য লেনদেনে আসা ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারদরও ১০ শতাংশ বেড়েছে। ১১ টাকার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা। এদিন ১৩ লাখ টাকার ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। ৯ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে আরও চারটি কোম্পানির। এর মধ্যে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৭ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ৯.৭৭ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৯.৭৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের বেঙ্গল উইসডমের শেয়ারদর বেড়েছে ৯.৭৩ শতাংশ।

৮ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে একটি কোম্পানির, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বেড়েছে ৮.২৫ শতাংশ।

৭ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে তিনটি কোম্পানির। এর মধ্যে বিডিল্যাম্পের ৭.৮১ শতাংশ, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ারের দর বেড়েছে ৭.৭৬ শতাংশ।

দরপতনের ১০ কোম্পানি

প্রিমিয়ার সিমেন্টের শেয়ারদর কমেছে সবচেয়ে বেশি, ৭.১৩ শতাংশ। এতে ৬৩ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার নেমে এসেছে ৫৮ টাকা ৬০ পয়সায়।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর কমেছে ৪.৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া আরও চারটি কোম্পানির শেয়ারদর ৪ শতাংশের বেশি কমেছে। এগুলো হচ্ছে নর্দান ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল ও জুট স্পিনিং।

৩.৭৬ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের। ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর কমেছে ৩.৭৪ শতাংশ। তাল্লু স্পিনিংয়ের শেয়ারদর কমেছে ৩.৭৩ শতাংশ। এপেক্স ফুটওয়ারের শেয়ারদর কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ।

লেনদেনে সেরা ১০

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৬১ কোটি ১৩ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭০৫টি শেয়ার।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৫০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মালেক স্পিনিংয়ের ৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার ১ কোটি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আরএকে সিরামিকের ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ফুওয়াং ফুডের ৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকার, সাইফ পাওয়ারের ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার, ন্যাশনাল লাইফের ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর