বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতের ভোট মৌখিক অভিযোগ, কেউ তো আদালতে যায়নি: সিইসি

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:২২

সিইসি বলেন, ‘শতভাগ ভোট পড়া অবশ্যই অস্বাভাবিক। তবে আমার সীমাবদ্ধতা হলো, গেজেট প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের আর কিছুই করার থাকে না। এটা আইন, এ আইনের বাইরে তো আমি কিছু করতে পারব না।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘রাতের ভোটের’ যে কথা শোনা যায়, তা কেবলই একটা মৌখিক অভিযোগ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের কাজ করার সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি আয়োজিত ‘আরএফইডি-টক’ অুনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন।

নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোটের দিন বা আগে-পরে নির্বাচন কমিশনে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। এমনকি নির্বাচনের পরও সংক্ষুব্ধ প্রার্থীর আদালতে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবু কেউ আদালতের শরণাপন্ন হননি। এ থেকে বোঝা যায়, এটি কেবল একটি অভিযোগ, এর কোনো সত্যতা নেই।’

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট। সে নির্বাচনে অংশ নেয় সবগুলো রাজনৈতিক দল।

৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৬৫ আসন, ২২টি আসন পায় জাতীয় পার্টি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পায় আটটি আসন।

আগের রাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল করে সব ব্যালটে সিল মেরে রাখে বলে অভিযোগ তোলে বিএনপি। অবশ্য ইসি তখন থেকেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করে এসেছে।

তখন থেকে আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বরকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘‘দিনের ভোট রাতে হয়’ অনেকভাবেই এ কথাটি বলা হয়। নির্বাচনের সময় যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বা কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটে, এ তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আসতে হয়। সে তথ্য-উপাত্ত আমরা পাই গণমাধ্যম এবং রিটার্নিং অফিসারদের কাছ থেকে।

‘ওই নির্বাচনের দিনও আমরা সারা দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে বসা ছিলাম, তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আমরা দেখেছি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি। কিছু এলাকায় নির্বাচন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি। একটা আসনের পুরো নির্বাচন বন্ধ ছিল, পরে সেটা উপনির্বাচন করতে হয়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘ইসি চলে আইনের মাধ্যমে, যখন আমাদের কানের কাছে কোনো অভিযোগ আসে, তখন সেটার আমরা তদন্ত করি, সে হিসেবে পদক্ষেপ নিই। কোনো প্রিসাইডিং অফিসার যদি আমাদের কাছের তাৎক্ষণিক জানায় সমস্যা হচ্ছে বা আমরা যদি কোথাও থেকে খবর পাই যে অনিয়ম হচ্ছে, তাহলে আমরাও নির্বাচন বন্ধ করতে পারি। কিন্তু এ রকম কোনো অভিযোগ আমরা নির্বাচনের সময় পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচনের ফল যখন রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছে জমা দেন, তখন আমরা সেটার গেজেট প্রকাশ করি। সেটা না মানলে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন।

‘এ ছাড়া গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এর বাইরে তখন আর নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার থাকে না। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনে একজন ব্যক্তিও নির্বাচন কমিশনে কিংবা আদালতে এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি, কোনো প্রতিকার চাননি। তাই থিউরিটিক্যাল আমাদের বিশ্বাস করতে হয়, ওই নির্বাচনে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। অভিযোগের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না।’

নূরুল হুদা বলেন, ‘আমি তো দেখিনি, আপনি তো দেখেননি, কেউ দেখেছে, রাতে হয়েছে, কেউ প্রমাণ দিয়েছে? কেউ অভিযোগ করেনি, তাই এই অভিযোগের সত্যতা নেই।’

নূরুল হুদা বলেন, ‘যদি কেউ অভিযোগ করত, আদালত যদি নির্দেশ দিত, তদন্ত হতো, হয়তো কিছু বেরিয়ে আসত, বেরিয়ে এলে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেত। হয়তো সারা দেশে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেত বা কিছু এলাকায় নির্বাচন বন্ধ হতো। এটা কেন তখন কোনো রাজনৈতিক দল অভিযোগ করেনি, পদক্ষেপ নেয়নি তারাই ভালো জানে। ইসি আইনানুগভাবে যা, যতটুকু করার দরকার ততটুকুই করেছে।’

নির্বাচনের ছয় মাস পর এসে যখন ইসি কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করল, তখন দেখা গেল কয়েক কেন্দ্রে ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি কেন্দ্রে।

সে সময় কেন বিষয়টি ইসি খতিয়ে দেখেনি এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘শতভাগ ভোট পড়া অবশ্যই অস্বাভাবিক। তবে আমার সীমাবদ্ধতা হলো, গেজেট প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের আর কিছুই করার থাকে না। এটা আইন, এ আইনের বাইরে তো আমি কিছু করতে পারব না।’

এ বিভাগের আরো খবর