বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাগরিয়া ইউপিতে প্রচার নিয়ে সংঘর্ষ: ১৩ জন গুলিবিদ্ধ

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:০৬

চিকিৎসক রুমি দাশ বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিশু, নারী, পুরুষসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে গুলি লেগেছে এবং একজনের মাথা ফেটে গেছে৷’

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচারকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।

সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা গুলি করেছে বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করলেও তা নাকচ করেছেন আক্তার হোসেন।

খাগরিয়া ইউনিয়নের জোড়ারকুল এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দুপুরে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আবদুল জলিল।

তিনি বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রচারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে আমরা সেখানে এসেছি। কয়েকজন আহত আছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ মুহূর্তে আহতদের সংখ্যা ও নাম-পরিচয় জানাতে পারছি না। আহতরা দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। এলাকায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’

দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রুমি দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিশু, নারী, পুরুষসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে গুলি লেগেছে এবং একজনের মাথা ফেটে গেছে৷ পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেকে) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷’

স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সকালে জোড়ারকুলে গণসংযোগকালে নৌকা প্রার্থীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা এ সময় গুলিও ছোড়ে। এতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত বলে জানতে পেরেছি।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের ওপর হামলা করিনি। ওরা আমার এলাকায় এসে আমার বাড়ি ঘেরাও করে এলোপাতাড়ি গুলি করেছে। আমার কয়েকজন লোক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে। বর্তমানে আহতরা দোহজারী হাসপাতালে ভর্তি আছে।

‘আমি ভেবেছিলাম তারা আমার ওয়ার্ডে ভোরবাজারে নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন করতে আসছে। কিন্তু পরে অন্য সড়ক দিয়ে এসে আমার এলাকায় হামলা চালিয়েছে। রাতেই তারা মিটিং করে হামলার পরিকল্পনা করেছে।’

এই ইউপিতে ভোট হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

এ বিভাগের আরো খবর