মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গৃহবধূ হত্যা মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায়ে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামির অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন বসাক।
ওই গৃহবধূর নাম সালেহা আক্তার। তিনি মানিকগঞ্জের শিবালয়ের নিহালপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
দণ্ডিত আসামির নাম রেজাউল মণ্ডল। তার বাড়ি শিবালয়ের একই এলাকায়। আরিচা ফেরিঘাটে চা-পানের দোকান ছিল তার।
এজাহারে বলা হয়, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ২০১১ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাতে ফোন করে সালেহাকে বাড়ি থেকে আবহাওয়া অফিসে ডেকে নিয়ে যান রেজাউল মণ্ডল। এ সময় কথা-কাটাকাটি হলে পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে সালেহাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান রেজাউল। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেয় তৎকালীন শিবালয় থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলায় ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে বিচারক আসামি রেজাউল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নিরঞ্জন বসাক সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।