কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে হিসাববহির্ভূত টাকাসহ আটক অফিস সহকারী জান্নাতুন আক্তারকে দৌলতপুর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক।
নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মো. জাকারিয়া।
দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় বুধবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নগদ তিন লাখ এক হাজার ২০০ টাকাসহ তাকে আটক করে।
উপপরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, ‘আটক জান্নাতুনকে দৌলতপুর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘুষ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক।
‘তাকে আজ কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিয়ে মামলার আবেদন করা হবে। আদালত সিদ্ধান্ত দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।’
জান্নাতুনকে আটকের পর দুদকের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘দলিল রেজিস্ট্রি করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়; এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বেলা ৩টার দিকে দৌলতপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। সেখানে অফিস সহকারী জান্নাতুন আক্তারের কাছে নগদ ৩ লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা পাওয়া যায়।
‘দলিলসহ নানা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এ টাকা ঘুষ হিসেবে আদায় করা হয়েছে। সে কারণে জান্নাতুনকে আটক করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে দৌলতপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই টাকা দলিলের ফি হিসাবে তোলা হয়েছিল। দলিল রেজিস্ট্রিরের সময় কিছু ফি নগদ হিসাবে তোলারও বিধান আছে। আজ (বুধবার) ৩১৬টি দলিল রেজিস্ট্রি করতে ফি হিসাবে এ টাকা তোলা হয়। যার হিসাব দুদকের কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া হয়।
‘কিন্তু তারা এ হিসাব মানতে রাজি হননি। তাই অফিস সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা বিষয়টি আদালতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।’
যদিও এর আগে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ ও অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মুকুলকে আটক করে দুদক। সে সময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ চার হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। জমির দলিল করতে আসাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।