বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্মাণকাজ ও বৃষ্টিতে টঙ্গীতে যানজট চরমে

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৩

বলাকা পরিবহনের যাত্রী রেজাউল করিম বলেন, ‘বিকেল ৪টায় টঙ্গীর চেরাগআলী থেকে উত্তরার রাজলক্ষ্মীর উদ্দেশে রওনা দিই। পথের দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিটের। অথচ টঙ্গী ব্রিজ পার হতেই সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। সড়কের বিভিন্ন স্থান কাদায় মাখামাখি হওয়ায় হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই।’

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য এমনিতেই তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী এলাকা ব্যবহার করা যাত্রীদের। সেই ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে বুধবার সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে।

খানাখন্দে ভরা রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমায় যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। আর এতেই দেখা দিয়েছে তীব্র জট। অনেকে বিকল্প রাস্তায় যাচ্ছেন গন্তব্যে।

পরিস্থিতি দেখতে সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীতে অবস্থান নেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক।

দেখা যায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে বেলা ১১টা থেকে থেমে থেমে যান চলাচল করছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তি বাড়তে থাকে।

ঢাকামুখী লেন বন্ধ থাকায় টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পুবাইল পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি। অনেক যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে।

বলাকা পরিবহনের যাত্রী রেজাউল করিম বলেন, ‘বিকেল ৪টায় টঙ্গীর চেরাগআলী থেকে উত্তরার রাজলক্ষ্মীর উদ্দেশে রওনা দিই। পথের দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিটের। অথচ টঙ্গী ব্রিজ পার হতেই সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। সড়কের বিভিন্ন স্থান কাদায় মাখামাখি হওয়ায় হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই।’

মিলগেট এলাকায় যানজটে পড়ে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে ছিলেন পিকআপ চালক ওসমান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কলেজগেট থেকে মিলগেট আসতেই সময় লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি। প্রায় ২০ মিনিট একই জায়গায় বসে আছি।’

ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছে, মহাসড়কে বিআরটির নির্মাণকাজের কারণে যানজট এই পথের যাত্রীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বৃষ্টি হলে যানজট আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।

যানজটের কারণে হেঁটে যাওয়ারও উপায় থাকে না। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো সড়ক কর্দমাক্ত হওয়ার ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিআরটি প্রজেক্টের কাজ চলার কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। তা ছাড়া বৃষ্টিতে গাড়ি চলার গতি কমে যাওয়ায় ঢাকামুখী চাপ বেড়েছে। এতে উত্তরার যানজট টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত পৌঁছেছে। ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত গাড়ি ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করছি।’

ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শীত মৌসুমে যানজট আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে বর্ষার আগে যদি বিআরটির নির্মাণকাজ শেষ করা না যায়, তাহলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে চলাচলকারীদের।

এ বিভাগের আরো খবর