শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অর্থের যোগান দেয়ার অভিযোগ গ্রেপ্তার সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছে আদালত।
সিলেট মহানগর মেট্রোপলিটন-২ আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাদের জামিন দেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে বিকেলে আদালতে তুলে জামিনের আবেদন করা হয়। করোনা শনাক্ত হওয়ায় আরেক আসামি নাজমুস সাকিব দ্বীপকে নেয়া হয় হাসপাতালে।
শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আদেশ দেন।
আইনজীবী সমিতির নেতা মাহফুজুর জানান, নাজমুস সাকিব দ্বীপকে সিলেটের শহীদ সামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আজ (বুধবার) রাতেই তারা সবাই জামিনে ছাড়া পাবেন।’
এর আগে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হবে বলে তারা আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে জানান, আন্দোলনে অনুদান দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক শাবি শিক্ষার্থীদের জামিনও হয়ে যাবে।
ওই মামলায় অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
এসব আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাত দিন ধরে চলা অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফউল্ল্যাহ তাহের মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান এবং আন্দোলনকারীদের উসকানি দেয়ার অভিযোগে ওই পাঁচজনের নামে মামলা হয়। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-১৫০ জনকে।
তিনি আরও জানান, রাজধানী থেকে তাদের আটকের পর সিলেটে হস্তান্তর করা হয়।
তারা হলেন হাবিবুর রহমান স্বপন, রেজা নূর মঈন দীপ, নাজমুস সাকিব দ্বীপ, এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
এর মধ্যে হাবিবুর বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।