বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করলে এলাকায় থাইকেন না’

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:১৩

ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণে আছি। অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেটা অফিসে থাকতে পারে। তবে আমি এই বিষয়ে অবগত নই।’

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নে ‘বিদ্রোহী প্রার্থীর’ কর্মী-সমর্থকদের এলাকায় না থাকার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

তবে নৌকার প্রার্থী বলছেন, তিনি এ ধরনের কোনো কথাই বলেননি।

নারান্দী ইউনিয়নের শালংকা গ্রামে ২১ জানুয়ারি উঠান বৈঠক করেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। এ সময় তার দেয়া বক্তব্য পরদিন ‘সত্যের সন্ধান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট হয়।

ভিডিওতে প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘মুখে জয় বাংলা বলবেন, আর কাজ করবেন নৌকার বিরুদ্ধে, আমি লালু, ভুলু ও শাকিলকে বলে দিতে চাই- আগামীকালের পর এলাকায় থাইকেন না।’

যাদেরকে এলাকায় না থাকার হুমকি দেয়া হয়েছে তাদের একজন শাকিল রেজা। তিনি নারান্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শফিক গত নির্বাচনে যখন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন তখন আমি, লালু আর কালু দিনরাত পরিশ্রম করে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে অসহায়দের কাছ থেকে ঘর দেবেন বলে টাকাপয়সা নিয়েছেন।

‘আমরা সেগুলোর প্রতিবাদ করেছি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আছে। তাই এবারের নির্বাচনে আমরা তার সঙ্গে নাই। আর এ জন্যই তিনি গ্রামে এসে আমাদেরকেই হুমকি দিচ্ছেন।’

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুছলেহ উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পুরো ইউনিয়নে ঘুরে নৌকার প্রার্থী বুঝতে পেরেছেন তার কোনো জনসমর্থন নাই। নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে রাজনৈতিক প্রভাব এবং পেশিশক্তি ব্যবহারের এমন হীন তৎপরতায় জড়িয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘শফিক প্রতিনিয়ত আমার কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ধরনের বক্তব্য আমি দেইনি। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন তারা এখনো নিজেদের এলাকায় অবস্থান করছেন। আমি বলেছি আপনারা আওয়ামী লীগ করবেন আবার দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করবেন এমনটা ঠিক না।’

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেটা আমার কাছে নয় দেবেন ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।’

ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণে আছি। অভিযোগ দিয়ে থাকলে সেটা অফিসে থাকতে পারে। তবে আমি এই বিষয়ে অবগত নই।’

আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রথমবারের মতো ভোট হবে ইভিএমে।

এ বিভাগের আরো খবর