বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পান চাষে সফল লালমনিরহাটের অনিল

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১৩

অনিলের স্ত্রী গৌরী রানী বলেন, ‘পান বাগানটা আমরা নতুন লাগাইছি। এখানকার মাটি পান চাষের উপযোগী। আমরা পান চাষ করে এলাকার চাহিদা মিটাই। আমরা এখন স্বাবলম্বী। অন্য কৃষকদেরও বলব তারা যেন পান চাষ করে।’

বাঙালির আথিতিয়তার অন্যতম অনুসঙ্গ পান। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পালা-পার্বণ, বিয়ে-আয়োজন সব শেষে যেন পান থাকতেই হবে। সেই ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি ছড়ার মতো বলতে হয়, ‘বাটা ভরা পান দেবো, গাল ভরে খেয়ো’। গ্রামবাংলা এমন কি শহুরে বাঙালির অনেকেই পান খেয়ে থাকেন।

সে পান চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। তাদের একজন লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র বর্মন।

এক সময়ে অভাব-অনটন লেগেই ছিল অনিলের সংসারে। শুধু পান চাষ করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। এখন স্বচ্ছল যেমন, তেমনই আবার ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারছেন অনিল।

অনিল জানান, জেলাটিতে প্রথম তিনিই পান চাষ শুরু করেন। এমন কি চাষে তিনি সফলতাও পেয়েছেন। এখন ৩৬ শতাংশ জমিতে পান চাষ করছেন তিনি। এখন খরচ বাদেও তার মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার উপরে।

তবে পান চাষে সফলতা পেতে তাকে অনেক বেড় পেতে হয়েছে। গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের পান বরজ ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে গাইবান্ধা থেকে পান গাছের চারা সংগ্রহ করেন।

নিউজবাংলার প্রতিবেদককে অনিল বলেন, ‘পানের বরজের জন্য জমি চাষযোগ্য করতে সরিষার খৈল ও গোবর, জৈব সার ব্যবহার করে বাঁশের খুঁটিতে পুঁতে মাচান তৈরি করি। তবে পান চাষের জন্য জমি উপযোগী কিনা তা নিয়েও সংশয় ছিল আমার। সেই সংশয় কাটিয়ে এখন সফলতার মুখ দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পান চাষে আমার প্রায় লাখ টাকা খরচ হয়। এখন প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা এ পানের বরজ হতে আয় হয়। জেলার বাইরেও যায় এ পান।’

অনিলের স্ত্রী গৌরী রানী বলেন, ‘পান বাগানটা আমরা নতুন লাগাইছি। এখানকার মাটি পান চাষের উপযোগী। আমরা পান চাষ করে এলাকার চাহিদা মিটাই। আমরা এখন স্বাবলম্বী। অন্য কৃষকদেরও বলব তারা যেন পান চাষ করে।’

ভালো ফলন ও বাজারদর ভালো হওয়ায় সফলতার গল্পটি দীর্ঘ হবে এখন এমন স্বপ্ন বুনছেন অনিল।

এ বিভাগের আরো খবর