চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) গৃহকর সহনশীল রেখে করের আওতা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার বিকেলে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কমিটির সভা শেষে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘গৃহকর সহনশীল রাখা আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল। এই প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। সে অনুযায়ী গৃহকর নয়, বাড়ানো হবে করের আওতা।’
মেয়র বলেন, ‘সর্বশেষ গৃহকর পুনর্মূল্যায়নে কেউ অসংগতির আপিল করলে তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করা হবে। সিটি করপোরেশনের বিধিবিধানের আওতায় কর আদায়ের যে খাতগুলো আছে সেসব থেকে কর আদায় করা হবে।’
সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, ২০১৭ সালে পঞ্চবার্ষিকী গৃহকর পুনর্মূল্যায়নে উদ্যোগ নেয় চসিক। ভবনমালিকদের আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর তা স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এরপর গৃহকর বাড়ানোর সুযোগ না পেলেও বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নিয়েই স্থগিত গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন চালুর আবেদন করেন।
১৮ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে পঞ্চবার্ষিক গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম জানান, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ২ জানুয়ারি ও পরবর্তী সময়ে দুই দফা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে চসিক।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত ১০ বছর আগে নির্ধারিত হারে জনসাধারণ কর দিচ্ছেন। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চসিক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পর ব্যক্তিমালিকানায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও স্থগিতাদেশ তুলে নেয় মন্ত্রণালয়। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে ১০ বছর আগে নির্ধারিত হারের পরিবর্তে পুনর্মূল্যায়নের ভিত্তিতে গৃহকর আদায়ে কোনো বাধা রইল না চসিকের।