ঢাকায় ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার তুরস্কের নাগরিক হাকান জানবুরকান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই মামলার দুই আসামি তুর্কি নাগরিক হাকান ও বাংলাদেশের নাগরিক মো. মফিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মামুন অর রশিদ।
হাকান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তার জবানবন্দি রেকর্ড এবং মফিউল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে হাকানের জবানবন্দি নিয়ে তাকে এবং মফিউল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
একটি ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে তিন দিনে ৮৪ বার টাকা তোলার চেষ্টার পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হাকান। পরে গ্রেপ্তার করা হয় মফিউলকেও। গত ১৯ জানুয়ারি পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এ দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
১৮ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গুলশান-১ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিভিন্ন মডেলের ফোন, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, সৌদি আরব ও স্পেনে গিয়ে ওইসব দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে হাকান জানবুরকান টাকা তুলে নেন বুথ থেকে।
এভাবে প্রায় ৪০টি দেশের বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশে আসেন তিনি। বাংলাদেশে এসেও একই কাজ শুরু করেছেন এই তুর্কি নাগরিক।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন হাকান জানবুরকান। এরপর গত ২-৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে কার্ড ক্লোনিং স্কেমিংয়ের মাধ্যমে শতাধিকবার টাকা উত্তোলনের চেষ্টাও করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।