বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্দির ভাঙা জঘন্য অপরাধ: হাইকোর্ট

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০০

বিচারক বলেন, ‘শুধু নিন্দনীয় না। এগুলো জঘন্য অপরাধ। ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার কোনো সুযোগ নাই, আপনি যেই হোন না কেন। আমার ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার কোনো সুযোগ আপনার নেই।’

মন্দির ভাঙা জঘন্য অপরাধ উল্লেখ করে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে এমন মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় মাদারীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় এক আসামির জামিন শুনানির সময় আদালত এ মন্তব্য করে।শুনানিকালে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. রেজাউল হক বলেন, ‘কে ফেলল, কে রাখল আমি তার নামই জানি না অথচ আমি মন্দির ভাঙলাম। ইসলামের কোথায় আছে মন্দির ভাঙার কথা।’ এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মো. আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘এগুলা তো নিন্দনীয়।’

তখন বিচারক বলেন, ‘শুধু নিন্দনীয় না। এগুলা জঘন্য অপরাধ। ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার কোনো সুযোগ নাই, আপনি যেই হোন না কেন। আমার ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার কোনো সুযোগ আপনার নেই।’

এ সময় তিনি কোরআনের একটি আয়াত পাঠ করেন।বিচারক বলেন, ‘তুমি তোমার ধর্ম পালন কর, আমি আমার ধর্ম পালন করি। অথচ আমরা গিয়ে লাফ দিয়ে আরেকজনের মন্দির ভেঙে দেই। যদিও একটা লোক অন্যায় করে, তবে তার জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাঙব কেন, অপরাধটা যে করেছে তার বিচার করতে হবে। তাকে পুলিশে দেন।

‘গণহারে মন্দির ভাঙবেন, এগুলা সহ্য করার মতো নয়। এটা ঠিক না। একটা লোকের দোষের কারণে আপনি ধাম ধাম করে মন্দির ভাঙবেন। যেয়ে দেখেন যারা মন্দির ভাঙছে তারা ধর্মপালন করে না।’ বিচারক আরও বলেন, ‘আমাদের নবীজি, যিনি এত মার খেলেন, এত নির্যাতিত হলেন, বেইজ্জত হলেন কিন্তু কোথাও তিনি তাদের ওপর নির্যাতন করেননি। এমনকি অন্য ধর্মের ওপর আঘাত হানতে নিষেধ করেছেন।‘মন্দিরে হামলা কী ধরনের উন্মাদনা আমি বুঝি না। এগুলা শুনলেও খারাপ লাগে। দেশের মধ্যে শান্তি আছে। অথচ তারা অশান্তি করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি হিন্দু পাড়ার মধ্যে। আমরা সবাই মিলেমিশে বড় হয়েছি। আমরা কখনও এর পার্থক্য বুঝি নাই।’

পরে আদালত আসামি আসাদ খোন্দকারকে জামিন দেয়।আদালতে আসাদের পক্ষে শুনানি করেন গোলাম মো. আব্বাস চৌধুরী দুলাল। তার সঙ্গে ছিলেন অলোক কুমার ভৌমিক। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।আসামিপক্ষের আইনজীবী অলোক কুমার ভৌমিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মক্কেলের নাম মামলার এজাহারে নাই। তার কোনো স্বীকারোক্তিও নাই।’আইনজীবী গোলাম মো. আব্বাস চৌধুরী দুলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় মাদারীপুরে জনতা মিছিল বের করে। তখন পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। ওই মামলায় ১৭ অক্টোবর আসাদ খোন্দকার গ্রেপ্তার হন। এ মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নন। তার কোনো স্বীকারোক্তিও নেই। এসব বিবেচনায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর