মুন্সিগঞ্জের পঞ্চসারে অটোরিকশাচালক হিমেল মীরের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এর আগে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে অটোরিকশা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মুসা সরকার, নজরুল ফরাজী, সবুজ চৌকিদার, আবুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।
তিনি আরও জানান, অটোরিকশা চুরির উদ্দেশ্যে হিমেলের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করে চোর চক্রের সদস্যরা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারি কৌশলে একটি ঘরে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্যের সাহায্যে হিমেলকে অচেতন করা হয়। পরে গোপনাঙ্গে আঘাত করে হত্যা করা হয় হিমেলকে। মরদেহটি বস্তাবন্দি করে একটি ডোবায় ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
হিমেলের অটোরিকশাটি লৌহজংয়ে একটি গ্যারেজে বিক্রি করে দেয় চোর চক্র। হত্যার চার দিন পর গত ১৮ জানুয়ারি অজ্ঞাত ও অর্ধগলিত অবস্থায় হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলে পুলিশ হত্যা মামলা করে।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মুসা সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অপর চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে চোরাই অটোরিকশার চেসিস, তিনটি টায়ার ও একটি মিটার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত অপর পলাতক আসামি মোকসেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
গত ১৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ সদরের মুক্তাপুর এলাকায় মল্লিক রায় ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় হিমেল মীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হিমেল স্থানীয় গোসাইবাগ এলাকার সাইজউদ্দিন মীরের ছেলে।