প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের অধীন অডিটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রূপাসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব এই আদেশ দেন।
এই ১০ জনকে গত ২২ জানুয়ারি দুইদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামি নোমান সিদ্দিকী, নাইমুর রহমান তানজির, শহিদুল্লাহকে ও মাহমুদুল হাসান আজাদকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ডিবির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক আব্দুল হান্নান।
আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
অপরদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রূপা, আল আমিন আজাদ রনি, মো. রাকিবুল হাসান, হাসিবুল হাসান, নাহিদ ও রাজু আহম্মেদকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ডিবির সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের উপ-পরিদর্শক শহিদুর রহমান।
দুটি মামলার শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
এই ১০ জনের বিরুদ্ধে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কাফরুল ও রমনা থানায় সোমবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
আগামী ৩০ জানুয়ারি রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রমনা থানা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজামুদ্দিন ফকির।
প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টে ৫৫০ জন অডিটর পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে গত ২১ জানুয়ারি ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। চাকরিপ্রত্যাশীদের অনেকে অভিযোগ তোলেন, এই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও কাকরাইল এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
তাদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ) অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা এবং মাহবুবা নাসরীন রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ইয়ার ডিভাইস ৬টি, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার ৬টি, ব্যাংকের চেক ৫টি, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৭টি, স্মার্ট ফোন ১০টি, বাটন মোবাইল ৬টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের তিনটি সেট জব্দ করা হয়।