বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকাকে ভেনিস করার স্বপ্ন মন্ত্রীর

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪০

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সব খাল উদ্ধার করে দৃষ্টিনন্দন করা গেলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।’

সব খাল উদ্ধার করে ঢাকাকে ইতালির ভেনিসের মতো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বলেন, ‘সব খাল উদ্ধার করে দৃষ্টিনন্দন করা গেলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মঙ্গলবার বসিলা রামচন্দ্রপুর খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর সব খালগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ তৈরি করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে একাধিক সভা করে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ঢাকা শহরের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই হবে।

‘ঢাকা শহরে এখনও ৫৩টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে নৌ চলাচল ও দুই পাশে ওয়াকওয়ের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করা যায় তাহলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিলে খাল উদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণ থাকে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করলে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। সে উদ্দেশ্যেই রাজধানীর কিছু খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

‘দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুই সিটি করপোরেশন অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। যার ফলাফল এখন দেখা যাচ্ছে।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘যারা সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তারা স্বাভাবিকভাবেই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর ফলে সব জায়গায় একটি বার্তা চলে যাবে যে অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই।

‘শুধু এখানকার খাল উদ্ধার হবে আর অন্যগুলো হবে না এমনটা ভাবা উচিত হবে না। ঢাকা শহরের যত জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন তারা সতর্ক হবেন। কোনো দখলবাজদের বরদাস্ত করা হবে না। জনগণের কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবকিছু করবে সরকার।’

জনগণের আকাঙ্খা পূরণে ঢাকার দুই মেয়রকে পূর্ণ সমর্থনও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন মানুষের জন্য রাজধানীর দুই কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হতে পারে না। আর এটা কখনই করতে দেয়া হবে না।

‘রাজধানীতে পরিকল্পিতভাবে ট্রাক ও বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করার কাজ চলছে। যেখানে যে পরিমাণ রাস্তার দরকার তা নির্মাণ করতে হবে। আবাসনের জায়গায় আবাসন হবে। সবার জন্য কল্যাণকর ঢাকা গড়তে যা যা দরকার তার সবই করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’

রাজধানীর অন্য খালগুলোও সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াটার বোর্ডের অধীনে থাকা খালগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খালগুলো হস্তান্তরে প্রক্রিয়া চলছে।

‘পৃথিবীর অনেক সিটি করপোরেশন নিজেদের অর্থায়নে এয়ারপোর্ট, সাবওয়ে, ট্যানেল ও মেট্রোরেল করেছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো আগের তুলনায় অনেক সক্ষম। আমি বিশ্বাস করি শিগগির দেশের সব সিটি করপোরেশন আত্মনির্ভরশীল হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর