নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য এবার খাবার নিয়ে এসেছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আপত্তির কারণে উপাচার্য ভবনে তারাও প্রবেশ করতে পারেননি।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাশ, সাধারণ সম্পাদক মহিবুল আলমের নেতৃত্ব মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক নেতারা খাবার নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় প্রক্টর ড. আলমগীর কবীরের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক এবং দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের দুজন কাউন্সিলর উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের জন্য খাবার নিয়ে এসেছিলেন। তাদেরও উপাচার্য ভবনে প্রবেশ করতে দেননি শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য ভবনে পুলিশ ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে রোববার সন্ধ্যায় ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর রাত ৮টার দিকে তার ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন শিক্ষার্থীরা। যদিও সোমবার মধ্যরাতে বিদ্যুৎ সংযোগ আবার চালু করেন তারা।
উপাচার্য ভবনে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার পর শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের ফটকের সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছেন। কেউ ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দিচ্ছেন।
উপাচার্য ভবনে প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাশ বলেন, ‘উপাচার্য অসুস্থ। এর মধ্যে অনেক দিন ধরেই তিনি অবরুদ্ধ আছেন। তাই আমরা কিছু খাবার নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা দাবির সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। খাবার নিয়ে এসেছি মানবিকতা থেকে।’
খাবার নিয়ে আসার দুদিন আগে শনিবার জরুরি সভা করে শিক্ষক সমিতি। পরে এক বিবৃতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ ‘সরকারের এখতিয়ারের বিষয়’ উল্লেখ করা হয়। এতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উপাচার্যের জন্য আনা খাবার ফিরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমদ বলেন, ‘উপাচার্য অসুস্থ হলে আমরা তার ওষুধের ব্যবস্থা করব। প্রয়োজনে আমরা খাবার দেব। কিন্তু আমাদের এইভাবে অনশনে রেখে তিনি নিজ বাসভবনে বসে খোশগল্প করবেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবেন তা আমরা মেনে নিতে পারি না।’
উপাচার্য পদত্যাগ করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।