বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটের পর মিষ্টিমুখ, ২ মাস পর ফল বাতিলের মামলা

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৩

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেদ বলেন, ‘এত দিন পর ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলাটি হাস‍্যকর। ২৯ নভেম্বর আমার নামে গেজেট প্রকাশ হয়েছে। শপথ নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। ভোটের পরদিন আশরাফ আমাকে মিষ্টিমুখ করালেন আর এত দিন পর এসে মামলা করলেন।’

ভোটের পরদিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পরাজিত প্রার্থী, করান মিষ্টিমুখও।

তবে দুই মাস পর সেই নির্বাচনের ফল বাতিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণার দাবি জানিয়ে মামলা করেছেন আশরাফ উদ্দিন রাজন।

লক্ষ্মীপুর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে গত ২ জানুয়ারি মামলা করেন তিনি।

আশরাফ দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ান। ১১ নভেম্বরের ভোটে জয়ী হন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের খালেদ সাইফুল্লাহ। আশরাফ ছিলেন দ্বিতীয় অবস্থানে।

ভোটের ফল মেনে নিয়ে আশরাফ অভিনন্দন জানিয়ে খালেদকে ফুল দেন ও মিষ্টিমুখ করান।

আশরাফ মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভোটের ফলে দেখানো হয়, তিনি ৩ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী খালেদ পান ৪ হাজার ৭৬৮ ভোট। তবে এজেন্টদের দেয়া প্রতিবেদনে ভোট আরও বেশি পেয়েছেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ‘ওপর মহলের’ নির্দেশে তার ভোট কমিয়ে দিয়েছেন।

আশরাফ বলেন, ‘সঠিক গণনা হলে আমিই জয়ী হতাম। তাই খালেদের গেজেট বাতিল করে আমাকে জয়ী ঘোষণা করার জন্য নালিশি মামলা করেছি। এ মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীকেই বিবাদী করা হয়েছে।’

তবে এত দিন পর কেন মামলা, সে প্রশ্নের উত্তর দেননি আশরাফ। তিনি বলেন, ‘এটা পরে বলব।’

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খালেদ জানান, মামলার কারণে তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এত দিন পর ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলাটি হাস‍্যকর। ২৯ নভেম্বর আমার নামে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। শপথ নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। ভোটের পরদিন আশরাফ আমাকে মিষ্টিমুখ করালেন আর এত দিন পর এসে মামলা করলেন।’

মামলার বিষয়টি এখনও জানেন না কমলনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘মামলার কথা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর