বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউএনও-এর ‘পরামর্শে’ টেন্ডার ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:২৭

হাসান শাহরিয়ার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাদ্রাসাটি এখনও খাস জমিতে রয়েছে। সরকারের বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া বা কোনো টেন্ডার ছাড়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিভাবে গাছগুলো কেটে বিক্রি করতে পারে?’

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার হরিপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার ও প্রতিষ্ঠানটির কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে টেন্ডার বা অনুমতি ছাড়াই সরকারি খাস জমির গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠেছে।

নিউজবাংলাকে মঙ্গলবার এ অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

অভিযুক্তদের দাবি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে গাছ কাটা হয়েছে এবং তিনি অবগত আছেন।

স্থানীয় আহম্মেদ কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ১৯৮৬ সালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খাস জমিতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকারের কাছে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও জমিটি মাদ্রাসার কাছে রেজিস্ট্রি দেয়নি সরকার। মাদ্রাসাটি এখনও খাস জমিতে অবস্থিত।

হাসান শাহরিয়ার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘চারটি কাঁঠাল গাছ বিক্রি করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। যা বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম।’ তিনি মনে করেন, গাছগুলোর বাজারমূল্য প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটি এখনও খাস জমিতে রয়েছে। সরকারের বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া বা কোনো টেন্ডার ছাড়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিভাবে গাছগুলো কেটে বিক্রি করতে পারে?’

নিউজবাংলাকে হরিপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার মো: মফিজুল ইসলাম কাদেরী বলেন, ‘মাদ্রাসাটি এখনো খাস জমিতে, রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসার প্রাচীরের ভিতরে থাকায় গাছগুলো কাটা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবগত রয়েছেন। তার পরামর্শে গাছ কাটা হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘গাছগুলোর শিকড় প্রাচীরের ক্ষতি করছিল। প্রাচীর ফাটল ধরছিল, তাই কমিটির সকল সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিয়ময় করে রীতিমতো রেজুলেশন করে গাছগুলো কাটা হয়েছে।’

যদিও এর আগে গাছ কাটার কারণ হিসেবে মাদ্রাসার ফার্নিচার তৈরির কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

তিনিও দাবি করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে গাছ কাটা হয়েছে এবং তিনি অবগত আছেন।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি একটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বিষয়ে আমার কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা থাকতে পারে না। এটি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার।’

উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো: রাকিবুজ্জামান বলেন, ‍‘আমি স্থানীয় তহশীলদারের কাছে শুনেছি, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সরকারি খাস জমির গাছ কেটে বিক্রি করেছে এবং মাদ্রাসাটিও নাকি খাস জমিতে অবস্থিত।

‘আমি বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি আসলে মাদ্রাসা ও গাছগুলো সরকারি খাস জমিতে আছে কি না? তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর