বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রয়োজনে সব শিক্ষার্থী অনশন করব’

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪০

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘উপাচার্যের কাছে আমাদের জীবনের চেয়ে চেয়ারের মূল্য বেশি। এই অযোগ্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী অনশনে বসব। তবু আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সাত দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন। ২৮ ঘণ্টার জন্য তারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে কিছু জানাননি ফরিদ।

প্রয়োজনে এবার সব শিক্ষার্থী অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবুও তারা দাবি আদায় করে ছাড়বেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ মঙ্গলবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ অহিংস পন্থায় আন্দোলন করছি। অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ ধাপ হচ্ছে অনশন। আমরা সাত দিন ধরে অনশন করছি তবুও উপাচার্য পদত্যাগ করছেন না। অনেকের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।

‘তার কাছে আমাদের জীবনের চেয়ে চেয়ারের মূল্য বেশি। এই অযোগ্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী অনশনে বসব। তবু আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।’

নাঈম আহমদ নামের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছিল। তারাও সোমবার চলে গেছে। চিকিৎসার অভাবে অনশনকারীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অনশনকারীদের মধ্যে ১৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ১০ জন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

প্রেক্ষাপট

শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু ১৩ জানুয়ারি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।

১৬ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ।

এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন নামেন।

বাসভবনের সামনে অবস্থানের কারণে গত ১৭ জানুয়ারি থেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

১৯ জানুয়ারি দুপুর ৩টা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অনশন শুরুর পরদিনই বাড়ি চলে যান। ২৩ জানুয়ারি আরও চারজন ও ২৪ জানুয়ারি একজন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন।

এর মাঝে উপাচার্য ইস্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তবে বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মূল দাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ। এই দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরবেন না।

২৩ জানুয়ারি দুপুরের পর শিক্ষার্থীদের আবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে তা না হওয়ায় তারা উপাচার্যকে অবরুদ্ধের ঘোষণা দেন।

ওই দিন রাত ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ২৮ ঘণ্টা পর সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর