ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে খালের পাশ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় এক মামলার সাক্ষীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ এই মামলা করে। এর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রাম থেকে পীর আলী নামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩৫ বছর বয়সী পীর আলীর বাড়ি নলডাঙ্গা গ্রামে। তিনি এই গ্রামের শাহানুর বিশ্বাসের পা হারানো মামলার সাক্ষী। ২০১৬ সালে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বিরোধের জেরে হামলায় পা হারিয়েছেন বলে জানান শাহানুর।
পীর আলীর ভাই রবিউল ইসলাম জানান, তার ভাই প্রতিদিন নিজের পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে যান। রোববার রাত ৮টার দিকেও পীর আলী বাগান পাহারার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। সকালে স্থানীয় লোকজন খালের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
স্বজনরা জানান, পীর আলীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এতে বলেন, শাহানুর পা হারানোর মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে যাওয়ার সময় আসামিরা তার পথরোধ করে ও হত্যার হুমকি দেয়। এ ধরনের হুমকির কারণে তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না।
কালীগঞ্জ বারোবাজার পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মকলেচুর রহমান জানান, মরদেহ খালের পাশে একটি গাছের নিচে পড়ে ছিল। তার গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল এবং গাছের ডালের সঙ্গেও রশি বাঁধা ছিল। শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ।