বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্দরনগরীর উড়াল পথ নির্মাণে বাড়ছে সময় ও ব্যয়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৩০

কথা ছিল চলতি বছরই চালু হবে চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

প্রকল্পের কাজ এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ বাকি থাকায় এ বছর শেষ হচ্ছে না চট্টগ্রাম মহানগরীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ।

এ অবস্থায় আরও ৩৬ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।

এতে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা বেড়ে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

এ বিষয়ে চউকের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয় একনেক সভায়।

সে সময় প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। নগরীর কাঠগড় থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ করতে গিয়ে নানা বিপত্তির মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ।

ফলে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আর অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হবে। তবে পরিবর্তিত অ্যালাইনমেন্টের জন্য সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

শুরু থেকেই প্রকল্পটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিশেষ করে, বন্দর এলাকায় শুরুতে যেভাবে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।

এতে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ, টোল প্লাজা নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণ, বিভিন্ন পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সাউন্ডপ্রুফ ব্যারিয়ার স্থাপন ও বৈদ্যুতিক পোল স্থানান্তরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারণার চেয়ে খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প ব্যয় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘শুরু থেকেই প্রকল্পটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বিশেষ করে, বন্দর এলাকায় শুরুতে যেভাবে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।’

শামস জানান, বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় নিয়ে নতুন করে নকশা করতে হয়েছে। এতে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ ও বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনের ক্ষতিপূরণও দিতে হচ্ছে। শুধু বন্দর এলাকার নকশা পরিবর্তনেই ৪০০ কোটি টাকা খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

কাজের ধরন পাল্টে গেছে, বাড়ছে ব্যয়। প্রকল্পের খুঁটিনাটি খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্দর এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন যুক্ত করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া আগ্রাবাদ এলাকায় বক্স কালভার্টের বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। শুরুতে বিষয়গুলো মাথায় না রাখায় নতুন করে ডিজাইন করতে গিয়ে বাড়তি খরচের মুখে পড়তে হয়।

অন্যদিকে প্রকল্প এলাকা থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পোল ও আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন স্থানান্তর খরচ ১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ কোটি টাকা।

প্রকল্প এলাকায় টোল প্লাজা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। সিসিটিভি স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৮টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণে ব্যয় যুক্ত হয়েছে ১২ কোটি টাকা।

হাসান বিন শামস বলেন, ‘কাজের ধরন পাল্টে গেছে, বাড়ছে ব্যয়। প্রকল্পের খুঁটিনাটি খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্দর এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন যুক্ত করতে হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর