রংপুর নগরীর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালি থানার দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও করা হয়েছে।
বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক।
তিনি জানান, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রোববার দায়িত্বে ছিলেন কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক নাদিরা সুলতানা ও কনস্টেবল মহসিনা বেগম। সেখানে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না তা তদন্ত করতে নাদিরা ও মহসিনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ওই সেন্টার থেকে রোববার দুপুরে উদ্ধার করা হয় রুহি আক্তার রুনার ঝুলন্ত মরদেহ। ময়নাতদন্তের জন্য তা পাঠানো হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় রুহির বাবা সেকেন্দার আলীর করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় সোমবার মো. মিঠুন ওরফে আকাশ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রুহির বাড়ি ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায়।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, রুহির সঙ্গে রংপুর গঙ্গাচড়ার আকাশ নামের ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বছরের মার্চে রুহি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহের জেরে এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ কল দেন। পুলিশ গিয়ে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়। সেখান থেকে পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর গত শনিবার আবারও রুহি আকাশের সঙ্গে দেখা করতে রংপুর পালিয়ে আসেন। আকাশের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানায়। পুলিশ গিয়ে ফের তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠায়।
সেখান থেকে রোববার উদ্ধার করা হয় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুহির দেহ।