বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবাধে কাটা হচ্ছে সেতুর নিচের মাটি

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০৪

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, ‘স্থানীয় রহমত আলী নামে এক ব্যক্তি ভেকু দিয়ে মাটি কেটেছেন। গত বৃহস্পতিবার সেতুর একটু সামনে থেকেই মাটি কাটা হয়েছে। সেতু রক্ষার স্বার্থে মাটি কাটা বন্ধ করা প্রয়োজন.’

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নের হরচন্দ্রপুর গ্রামে তারাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নিচ থেকে অবাধে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কারণে হুমকিতে পড়েছে সেখানকার কয়েকটি গ্রামের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র এ সেতুটি। তাই মাটি কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার সময় প্রবল বেগে তারাই নদীর পানিতে প্লাবিত হতো আশপাশের ১০ থেকে ১২টি গ্রাম। তখন এই পথে চলাচলের জন্য এখানকার মানুষের নৌকার বিকল্প ছিল না।

এমতাবস্থায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে সেতুর পিলার ঘেঁষে মাঝেমধ্যেই চলে মাটি কাটার মহোৎসব।

হরচন্দ্রপুর গ্রামের আসাদ নামে একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ভেকু দিয়ে সেতুর নিচ থেকে অন্তত ১০ ফুট গর্ত ও ২০ ফুটের মতো প্রশস্ত করে মাটি কেটে নেয়া হয়েছে।

‘প্রকাশ্যে নির্বিচারে এভাবে মাটি কাটলেও বাধা দেয়ার মতো কেউ নেই। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে সেতুটি একসময় ধসে পড়বে।’

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘সব কৃষিপণ্য এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়ে শহরে নিয়ে বিক্রি করি। কোনো কারণে সেতুটি ধসে পড়লে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হবে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দুই পারের অসংখ্য কৃষক। তারা সবজিসহ ধান বাজারে নিতে পারবেন না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, ‘স্থানীয় রহমত আলী নামে এক ব্যক্তি ভেকু দিয়ে মাটি কেটেছেন। গত বৃহস্পতিবার সেতুর একটু সামনে থেকেই মাটি কাটা হয়েছে।’

সেতু রক্ষার স্বার্থে মাটি কাটা বন্ধ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রহমত আলী বলেন, ‘সেতুর সামনে থেকে মাটি তোলা হয়েছে ঠিকই। তবে একটি গোরস্তানের জন্য মাটিগুলো কাটা হয়েছে। বন্যা হলে পানির স্রোতে কেটে নেয়া অংশ মাটি দিয়ে আবার ভরাট হয়ে যাবে।’

নিউজবাংলাকে উপজেলা প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘যেকোনো সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটা নিষেধ। কারণ বন্যা হলে পিলারের নিচ থেকে বালু অন্যত্র সরে যায়। এতে সেতু ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে।’

তাই এই সেতুর নিচ থেকে যারা মাটি কাটছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিকুজ্জামান বলেন, সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে কি না খোঁজখবর নেয়া হবে। সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর