ঢাকার সাভারে পয়োনিষ্কাশনের পানি ফেলতে প্রভাব খাটিয়ে সড়কের মাঝে গর্ত খোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীর বাধার মুখে ওই সড়কের জায়গা তার পৈতৃক বলে দাবি করেন ওই নারী। তবে প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি সরকারি বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
ঘটনাটি সাভার সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মিল্টন এলাকার।
যার বিরুদ্ধে গর্ত খোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে তার নাম সুফিয়া বেগম।
অভিযুক্ত সুফিয়া বেগম বলেন, ‘রাস্তাটা আমার বাড়ির সামনে এসেই শেষ হয়েছে। আর এই রাস্তার জমি আমরাই দিয়েছি। আমার বাড়ির ভেতরে ময়লা পানি রাখার কোনো জায়গা নেই। তাই রাস্তার ভেতরেই একটা গর্ত করে বানাচ্ছি।
বাসিন্দা আলাউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকার ওই সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২ ফুট। প্রতিদিন গার্মেন্টস শ্রমিকসহ প্রায় ৫০০ মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু রোববার সড়ক থেকে একটু দূরের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম তার বাসার বাথরুমের পানি ফেলার জন্য সড়কের মাঝে একটি গভীর কূপ করেন। এ সময় তাকে স্থানীয়রা বাধা দিলে তার পৈতৃক জমি থেকে সড়কের জায়গা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।
‘সড়কের মাঝে এভাবে গভীর কূপ খোঁড়ার কারণে গতকাল থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অনেকে। সোমবার বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলে ওই নারী তাদের কাছে তিন-চার দিন সময় চেয়ে নেন। সড়কে খোঁড়া গর্তটি আপাতত টিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।’
অভিযুক্ত সুফিয়া বেগম বলেন, ‘রাস্তাটা আমার বাড়ির সামনে এসেই শেষ হয়েছে। আর এই রাস্তার জমি আমরাই দিয়েছি। আমার বাড়ির ভেতরে ময়লা পানি রাখার কোনো জায়গা নেই। তাই রাস্তার ভেতরেই একটা গর্ত করে বানাচ্ছি।
‘এখন সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা রাস্তায় জমি দিয়েছি। সেই রাস্তা সরকারি হয়েছে। এখন তো আমাদেরও সরকারকে সহায়তা করতে হবে। আমরা যদি বাড়ির বর্জ্য পানি ফেলবার রাস্তা না পাই তো কী করব।’
ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী মেম্বার মনোয়ারা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ও আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সরকারি সড়কের মাঝে আমরা গর্ত খোঁড়া অবস্থায় দেখেছি। সুফিয়া বেগম নামে এক নারী তার বাসার পয়োনিষ্কাশনের জন্য গর্তটি করেছেন। তবে তাকে তিন দিন সময় দেয়া হয়েছে বিষয়টি মীমাংসার জন্য।’