বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা সংক্রমণের হার এবার রেকর্ডের কাছাকাছি

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৫

এই ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী পাওয়া গেছে ১৪ হাজার ৮২৮ জন, যা গত ৩ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সে সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল এবং দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। অকারণে বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল।

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রোগী ও সংক্রমণের হার প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে এবার ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের হার পাওয়া গেল দুই বছরের রেকর্ডের কাছাকাছি।

রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত যত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

গত বছর দেশের ইতিহাসে পরীক্ষার বিপরীতে সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫, যা শাটডাউন চলাকালে গত বছরের ২৪ জুলাইয়ের চেয়ে বেশি সংক্রমণের হার পাওয়া যায়।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী পাওয়া গেছে ১৪ হাজার ৮২৮ জন, যা গত ৩ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সে সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল এবং দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। অকারণে বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল।

শাটডাউন চলাকালে সেদিন ২৪ ঘণ্টায় রোগী পাওয়া যায় ১৫ হাজার ৭৭৬ জন।

এখন পর্যন্ত সারা দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।

এই ২৪ ঘণ্টায় যত নতুন রোগী পাওয়া গেছে, তা গত ৩ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সে সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল এবং দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। অকারণে বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল।

সংক্রমণের হার ও সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় রোগীর মৃত্যুও বেড়েছে। এই সময়ে সারা দেশে ভাইরাসটিতে ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ নিয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৮ হাজার ২৩৮ জন।

আগের দিন সারা দেশে সংক্রমণের হার ছিল ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ, রোগী পাওয়া যায় ১০ হাজার ৯০৬ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের।

নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে রেকর্ডের কাছাকাছি। গত বছরের ২৬ জুলাই দেশে ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ৮০৭টি। অর্থাৎ করোনার উপসর্গও এখন বেড়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি থেকে করোনার সংক্রমণ, শনাক্তের হার ক্রমেই বাড়ছে। গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার তিন মাস পর সেদিন প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার পাওয়া যায় ৫ শতাংশে বেশি। রোগী পাওয়া যায় দেড় হাজারের কিছু কম।

আগের দিন সারা দেশে সংক্রমণের হার ছিল ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ, রোগী পাওয়া যায় ১০ হাজার ৯০৬ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী পাওয়া গেল ১৪ হাজার ৮২৮ জন, শনাক্তের হার পাওয়া গেল ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পরদিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা, পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত ও নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে। কেবল শুক্রবার আগের দিনের চেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে শনিবার আগের দিনের তুলনায় কম রোগী পাওয়া গেছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথমে ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঢেউ দেখেছে সরকার।

এই ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী পাওয়া গেছে ১৪ হাজার ৮২৮ জন, যা গত ৩ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সে সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল এবং দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। অকারণে বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল।

এর মধ্যে প্রথম ঢেউ থাকে ২০২১ সালের শুরু পর্যন্ত। একই বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার ছিল তুলনামূলক বেশি।

তৃতীয় ঢেউয়ে এসে শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শাটডাউনকালের বিধিনিষেধের সমান হলেও মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম।

প্রথম ঢেউয়ে দেশে ছড়ায় মূলত ইতালীয়, ইউকে, সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট। প্রাণঘাতি দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছড়ায় মূলত ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। তৃতীয় ঢেউয়ে ডেল্টার পাশাপাশি ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। সারা দুনিয়াতেই এ ধরনটি এখন বেশি ছড়াচ্ছে। এতে মৃত্যু তুলনামূলক কম।

তৃতীয় ঢেউ চলাকালে সরকার নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। স্কুল-কলেজে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সশরীরে ক্লাস। সামাজিক-রাজনৈতিক জমায়েতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর