বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাবি ভিসির পদত্যাগ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে খোলা চিঠি

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩২

উপাচার্য পদে থাকার জন্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের নৈতিক অধিকার নেই উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এহেন বর্বর হামলায় মদদ দেয়ার পর অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের উপাচার্য হিসেবে থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই বলে আমরা মনে করি।’

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে খোলা চিঠি পাঠিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

সোমবার দুপুরে খোলা চিঠি জমা দিতে জোটের তিন প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবনে যান।

এই প্রতিনিধিরা হলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহাইল আহমেদ শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরফাত সাদ এবং ছাত্র ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা।

এর আগে জোটের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে তাদের বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভ শেষে জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চলাকালীন এ খোলা চিঠি পাঠ করেন।

চিঠিতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুত্রপাত এবং আন্দোলনের বর্তমান অবস্থার সার্বিক দিক তুলে ধরা হয়।

খোলা চিঠিতে বলা হয়, একজন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। বিশ্ববিদ্যালয় একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবে, আন্দোলন করবে, অবরোধ/ধর্মঘটের মতো কর্মসূচিও তাদের অধিকার। কিন্তু একজন অভিভাবক কখনও তার সন্তানদের ওপর টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের আক্রমণে মদদ দিতে পারেন না। এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

‘নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে সাউন্ড গ্রেনেড এবং গুলির ব্যবহার স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। এই হামলার পর উল্টো পুলিশ অজ্ঞাতনামা ২০০ শিক্ষার্থীর নামে কাজে বাধা প্রদান, গুলিবর্ষণ এবং হত্যার উদ্দেশে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করে।’

উপাচার্য পদে থাকার জন্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের নৈতিক অধিকার নেই উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এহেন বর্বর হামলায় মদদ দেয়ার পর অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের উপাচার্য হিসেবে থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই বলে আমরা মনে করি।’

‘যে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা করান, তার কাছে শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই নিরাপদ নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হওয়ার সব ধরনের যোগ্যতায় তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি এবং কর্মসূচিতে অনড় রয়েছেন। উপাচার্য ফরিদ উদ্দীনের অভিভাবকত্ব বরণ করে নেয়ার চেয়ে মৃত্যুই শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি নিরাপদ। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর