বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অফিসে অর্ধেক জনবল কার্যকর হয়নি সচিবালয়েই

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৮

সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, রোববার দিনের শেষে বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় পরের দিনই তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার থেকে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ পরিচালনার রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস পরিচালনা করতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রথম দিন সচিবালয় চলেছে আগের মতোই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সবাই ছিলেন উপস্থিত। অবশ্য তারা বলছেন, দু-এক দিনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ রোধে অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রোববার রাতে নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন।

এ নির্দেশনা সোমবার থেকেই কার্যকর করতে বলা হয় প্রজ্ঞাপনে। তবে এদিন প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখা যায় সাধারণ দিনের মতোই। নির্দেশনা বাস্তবায়নের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, রোববার দিনের শেষে বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় পরের দিনই তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার থেকে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ পরিচালনার রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সবাইকে জানিয়েছি এবং মন্ত্রণালয়, অন্যান্য অফিস, রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দেখে বুঝতে পেরেছেন যে মানুষ কিন্তু ইতোমধ্যে সচেতন হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন তারাও কিন্তু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার কারণে এটি বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে দেখছি।’

সামনের দিনগুলোয় এই নির্দেশনার আরও বেশি বাস্তবায়ন দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু তৃতীয় ঢেউয়ে আছি, আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ রকম নির্দেশনা ছিল সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করেছি। যার কারণে অর্ধেকসংখ্যক জনবল নিয়ে অফিস করা এবং এরও কমসংখ্যক নিয়ে অফিস করার প্র্যাকটিস করেছি। আমাদের প্র্যাকটিস আছে।

‘যারা সাধারণত গর্ভবতী নারী, যারা একটু অসুস্থ এরা ঘরে থেকে অফিস করেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। বিশেষ করে জুম, ই-নথি, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তারা তাদের কাজগুলো চালিয়ে নেবেন।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা বেড়ে গেলে সারা বিশ্বেই দেখবেন একমাত্র সমাধান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সে ক্ষেত্রে যত জনসমাগম পরিহার করতে পারব, ততই আমাদের জন্য ভালো। আমরা চাই আমাদের কর্মকর্তারা যাতে সুস্থ থেকে কার্যক্রমগুলো চালিয়ে নিতে পারেন।’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক জনবল কীভাবে মনিটর করা হবে, জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ইতোমধ্যে বলা হয়েছে যারা স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট থেকে শুরু করে আগের মতোই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ অনেকেই যারা মানতে চান না তাদের মানানোর জন্য কিছুটা আমাদের আইনের প্রয়োগ করতে হয়।

‘সরকার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং করে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই চাইব যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এর আগেও সাড়া দিয়েছে… তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্যই কর্মকর্কতা-কর্মচারীদের সুরক্ষার চেষ্টা করেন। এটা একটা দায়িত্ববোধের ব্যাপার।’

করোনা প্রতিরোধী টিকার সুফলের বিষয়টিও তুলে ধরলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা ফ্রন্ট লাইনে কাজ করেন, জরুরি সেবা কাজে যুক্ত থাকেন, তাদের আমরা জরুরিভাবে টিকা দেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। আমরা টিকা দেয়ার বিষয়টি উদ্বুদ্ধ করেছি, ব্যাপকভাবে টিকা নিচ্ছে। আমরা দ্বিতীয় ডোজ শেষ করেছি এবং বুস্টার ডোজ ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে।

‘টিকা দেয়া আছে বলেই যারা সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের আগের মতো সমস্যা হচ্ছে না এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেক কম। এটা টিকার সুফল। আমাদের টিকা কার্যক্রম পুরোপুরি সক্রিয় আছে। …আমরা টিকার ওপর জোর দিচ্ছি। সরকার টিকা আনার ব্যবস্থা করছে এবং পর্যাপ্তসংখ্যক টিকা আমাদের রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর