পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সোমবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এ দাবি জানান দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় আবেদন করেন।
আদালত আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করেছে।
শুনানির সময় ডিআইজি মিজান এবং বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৩ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন তারা।
ওইদিন তারা লিখিত বক্তব্য জমা দেবেন বলে আদালতকে জানান। এ জন্য তারা সময়ও চান। আদালত ১২ জানুয়ারি আসামিদের লিখিত বক্তব্য জমা দেয়ার তারিখ ঠিক করে। সেদিন মিজান ৬ পৃষ্ঠা ও বাছির ১২ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য জমা দেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মামলা করেন। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ওই বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। আরেক মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকেও পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।
ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর আদালত অভিযোগ গঠনের তারিখ ঠিক করে মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বদলির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।