ট্রেনে খুলনা কিংবা যশোর যেতে পারছেন না নীলফামারীর মানুষ। গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে পরিবহনের ওপর। সড়কপথে তাদের কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে।
সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেসে বগি না থাকায় এক মাস ধরে এমন ভোগান্তির শিকার এই রুটের যাত্রীরা। তবে কবে নাগাদ বগি যুক্ত হবে, তার সঠিক কোনো তথ্য নেই স্টেশন মাস্টারের কাছে।
নীলফামারী স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট না পেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে যাত্রীদের।
শহরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, ‘বুধবার খুলনায় যেতে টিকিট নিতে স্টেশনে যাই। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হলো, টিকিট এমনকি ওই রুটের ট্রেনে বগিও নেই। বাধ্য হয়ে ফিরে এলাম। এখন কীভাবে যাব? একটু সমস্যায় পড়লাম। বাসে যাওয়া যায়। কিন্তু অনেক কষ্ট করতে হবে।’
আরেক যাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমিও কয়েক দিন আগে যশোর যাওয়ার জন্য টিকিট আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু টিকিট নেই জানানো হয়েছে এবং বগি নেই নীলফামারীর যাত্রীদের জন্য এটি বলা হয়েছে।’
স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৩ ডিসেম্বর সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেসের দুটি বগি মেরামতের জন্য কারখানায় পাঠানো হয়। কিন্তু সেগুলো ফেরত আসেনি কিংবা বিকল্প বগিও দেয়া হয়নি। যার কারণে এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।’
প্রতিদিন নীলফামারী স্টেশন থেকে সীমান্ত এক্সপ্রেস সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এবং প্রতিদিন সকাল ৯টায় রূপসা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়।
দুটি বগি না থাকায় ১৮৪টি আসন থেকে বঞ্চিত নীলফামারী, সৈয়দপুর, ডোমার ও চিলাহাটির যাত্রীরা।
নীলফামারী রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী শামীম হোসেন বলেন, ‘নীলফামারী স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর, বগুড়ার সান্তাহার, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনার ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, যশোর এবং খুলনা স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীদের টিকিট দেয়া হতো। তবে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে টিকিট দেয়া বন্ধ আছে।
বিষয়টি নিয়ে নীলফামারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কিছু বলতে পারছি না। বিকল্প বগিও দেয়া হয়নি। এ কারণে টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।’
জানতে চাইলে রেলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বগি দুটো ড্যামেজ, সে কারণে শপে দেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ প্রস্তুত হবে, সে রিপোর্ট এখনও আমার কাছে আসেনি।’
দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে মনে করছি। প্রস্তুত হওয়ামাত্র সংযুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।