চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেয় চার শিশু। তবে এক দিনও বাঁচেনি এই শিশুর কেউ। অপরিণত চার শিশুরই মৃত্যু হয়েছে।
শিশুদের বাবা শাহ আলম চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মচারী ও মা কামরুন নাহার সুমু গৃহিণী।
শাহ আলম জানান, ২০২১ সালের এপ্রিলে তাদের বিয়ে হয়। কয়েক মাস পরেই গর্ভবতী হন সুমু। গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সকালে স্ত্রীকে প্রথমে বন্দর হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি।
পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুরে সিজারের মাধ্যমে সুমু প্রথমে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। বাকি তিন সন্তানকে জীবিত অবস্থায় প্রসব করলেও সন্ধ্যার দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক লুৎফুন্নেছা বলেন, ‘বাচ্চাগুলো পাঁচ মাস বয়সী ছিল। অপরিণত হওয়ায় তাদের বাঁচানো যায়নি।’
চার সন্তানের নাম চার খলিফার নামে রেখে রোববার রাতে তাদের চট্টগ্রাম বন্দর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তাদের বাবা শাহ আলম।