নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন উদযাপনে দিল্লির অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত নেতাজি ট্যাবলো বাদ দেয়া থেকে নেতাজি মূর্তি গড়া, স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবজ্ঞাসহ একাধিক অভিযোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার হুঁশিয়ারি, ‘বাঙালির ইতিহাস মুছে দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। ধর্মের নামে কেউ কেউ দেশে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
রোববার রেড রোডের নেতাজির জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের বিশাল অবদান রয়েছে। সেই বাংলাকে অবজ্ঞা করার মতো কাজ যারা করবেন, তারা আগুনে হাত পোড়াবেন।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কেউ কেউ হিন্দু-মুসলিম করে বেড়ান। দেশটাকে ভাগ করতে চান। দেশটাকে ঐক্য রেখেই জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়। আমরা অন্তর থেকে দেশকে ভালোবাসি না। তাই গৃহযুদ্ধ করি। তাই আমাদের মধ্যে জন্ম নেয় মীরজাফর, উমিচাঁদ। তারা আজও মরেনি। তাদের বংশ বেড়ে চলেছে। এসব কথা যিনি বলেছেন, তার নাম সুভাষ চন্দ্র বসু।’
দিল্লির ঐতিহাসিক অমরজ্যোতি নিভিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মশাল দিয়ে আগুন জ্বেলে শহীদ সৈনিকদের সম্মান জানানো হয়। একটা অমরজ্যোতি নিভিয়ে, একটা নেতাজির মূর্তি করে নেতাজিকে ভালোবাসা যায় না।
‘নেতাজির মৃত্যুরহস্য এতদিনেও বের করতে পারলেন না। স্বাধীনতার এতদিন পর কেউ জানল না কোথায় গেলেন নেতাজি।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি আজাদ হিন্দ বাহিনী তৈরি করেছিলেন। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। ভারতকে স্বাধীন করার জন্য নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। রাজ্যের সব স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা স্মরণ করে আমরা ২৩ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করব।’