চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ট্রলারে ডাকাতদের হামলায় চালক ও দুই যাত্রী আহত হয়েছেন। ট্রলারযাত্রীদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদপুর সদরের মেঘনার সফরমালী লঞ্চঘাট এলাকায় রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
আহতরা হলেন ট্রলারচালক উজ্জল শেখ এবং ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ ও হাকিম গাজী। এদের মধ্যে আক্কাস ও উজ্জলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ট্রলারচালকের বরাতে নৌ পুলিশ জানায়, মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ ও গৌরাঙ্গ বাজারের ১৫-১৬ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে চাঁদপুর সফরমালী লঞ্চঘাটের দিকে আসছিল ট্রলারটি। ঘাটের কিছুটা দূরে থাকা অবস্থায় তাতে হামলা চালায় ডাকাত দল।
আহত ব্যবসায়ী হাকিম আলী গাজী জানান, স্পিডবোট নিয়ে ৮ থেকে ৯ জন মুখোশধারী ডাকাত কাটা রাইফেল, শটগান, রামদা ও রড নিয়ে তাদের ট্রলারে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে যায়। পরে তারা মেঘনা নদীর উত্তর দিকে চলে যায়। ওদের সবার গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।’
ট্রলারচালক উজ্জল শেখ বলেন, ‘ট্রলারে ডাকাতরা উঠেই মারধর শুরু করে। কয়েকজন ব্যবসায়ী আমার কাছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদপুরের পার্টিদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দেন। সব টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।’
আহত পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ বলেন, ‘আমার কাছে ৯ লাখ টাকা ছিল। টাকা দিতে দেরি করায় রড দিয়ে আমার হাত ভেঙে ফেলে, টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
তেলের ডিলার আতাউর রহমান সবুজও ছিলেন ওই ট্রলারে। জানান, তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার লুট করা হয়।
নৌ পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি খবর পেয়েই চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ পুলিশের ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ব্যবসায়ীদের মিসিং মোবাইলের নম্বর আমার কাছে চলে আসছে। আমি সেগুলো নিয়ে ডাকাতদের ধরার বিষয়ে যা যা করণীয় সবই করছি।’
তিনি আরও জানান, অর্ধকোটি টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রলারযাত্রীরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।