সারাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো পুনরায় চালু, পুরনো হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন হল নির্মাণে স্বল্প সুদে ঋণ দেবে সরকার৷ এ জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার তবহিল গঠন করেছে।
রোববার রাজধানীতে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৫ জানুয়ারি প্রায় ৭০টি দেশের ২২৫টি সিনেমা নিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসবে জাতীয় জাদুঘর, গণগ্রন্থাগার, অলিয়ঁস ফ্রসেজসহ কয়েকটি স্থানে চলচ্চিত্র দেখানো হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করেন মন্ত্রী ড. হাছান।
ভারতের ‘কুজহানগাল’ সেরা চলচ্চিত্র, ফিনল্যান্ডের ‘দ্য আদার সাইড অব দি রিভার’ সেরা প্রামাণ্যচিত্র, ফ্রান্সের ‘আ সামার প্লেস’ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য ও নারীনির্মাতা বিভাগে ইরানের ‘সাহারবানু’ সেরা ফিচার ফিল্মের পুরস্কার পায়। দর্শক পছন্দে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ও ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। আর বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘আজব কারখানা’।
তথ্যমন্ত্রী জানান, ‘সিনেমা হল নির্মাণ, পুরনো হল চালু কিংবা আধুনিকায়নে এমনকি মার্কেটের সঙ্গে সিনেপ্লেক্স নির্মাণেও মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ হারে ব্যাংককে লভ্যাংশ দিয়ে একজন উদ্যোক্তা দশ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।
‘এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলচ্চিত্র শিল্প যাতে ঘুরে দাঁড়ায় এবং বাংলা চলচ্চিত্র যেন বিশ্বময় জায়গা করে নিতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।
‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে বার্ষিক অনুদানের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আশা করি এসব উদ্যোগ আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য সুদিন বয়ে আনবে।’
অনুষ্ঠানে সুন্দর দেশ, সমাজ ও পৃথিবী গড়তে চলচ্চিত্র অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এদেশের কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলো আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা-উত্তরকালে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। একইসঙ্গে অনেক বিষয় যা সমাজ ও সমাজপতিরা ভাবে না, সেগুলোও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উঠে আসে, সমাজকে পথ দেখায়।’
উৎসবের মূল আয়োজক রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির বোর্ড সদস্য মফিদুল হকের সভাপতিত্বে ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামালের পরিচালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল।