উপাচার্যবিরোধী চলমান আন্দোলনে সংহতি জানাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।
শাবি ক্যাম্পাসে রোববার দুপুরে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান।
‘বর্বর ভিসির অপসারণ চাই। সংহতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’- এমন লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থী উপাচার্য ভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে অবস্থান করেন।
এ সময় নাঈম হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে যে হামলা চালানো হয়েছে, তা খুবই জঘন্য। এর পর থেকেই শাবির শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন। এই দাবিতে অনশনও করছেন তারা।
‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত। এই অযোগ্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি আমরা। শাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতেই আমরা এখানে এসেছি।’
রাতেই তারা ঢাকায় ফিরে যাবেন জানিয়ে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আজকের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কাল আমরা ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন করব।’
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শনিবার মধ্যরাতে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে ওই বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড়। মন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের দাবির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রোববার দুপুরে আবারও শিক্ষার্থীদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বিকেল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক শুরু হয়নি।
শনিবার রাত থেকে নতুন করে অনশন শুরু করেছেন আরও চার শিক্ষার্থী। এ নিয়ে অনশনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।