করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বাড়ছে। গত তিন-চার মাসের তুলনায় কয়েক দিনে অনেক বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরু করে নতুন বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়বে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা রোগীর চিকিৎসায় রাজধানী ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৩৬টি শয্যা রয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৫টি বর্তমানে খালি রয়েছে। করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ৭৭৮টি আইসিইউর মধ্যে খালি আছে ৬৩৯টি। তবে রোগী হাসপাতালে ভর্তির হার অব্যাহত রয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৯ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২০০ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষকে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের টিকাদান যথাযথভাবে চলছে। ১ কোটি ২৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। একই সঙ্গে টিকাদানের বিশেষ কর্মসূচি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ১ কোটি ৮৯ লাখ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৯৬ লাখের বেশি মানুষ।
বইমেলা শুরুর আগে সংশ্লিষ্টদের টিকা নেয়ার অনুরোধ
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও আগামী মাসে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। সংক্রমণের কারণে এবার ১৫ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বইমেলা।
বইমেলায় যারা প্রবেশ করবেন তাদের টিকার সনদ লাগবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, বইমেলার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, তাদের অনুরোধ করব বইমেলা শুরু হওয়ার আগে টিকা নিয়ে নিতে।
বইমেলাসংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে টিকার সনদ রাখতে হবে। যারা ৬০ বছরে বেশি বয়সী। তারা টিকার বুস্টার ডোজ নেবেন। এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক নিয়মে মাস্ক পরে যাবেন। কোনো অবস্থায় মাস্ক খুলে বইমেলায় প্রবেশ করা যাবে না। এই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীনতার কারণে আবারও করোনা বাড়ছে। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। টিকা এসএমএস আসার সঙ্গে সঙ্গে টিকা নিয়ে নিতে হবে। যারা এখনও টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাদের শিগগিরই টিকার নিবন্ধন সেরে ফেলতে হবে।’