দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে আদালত।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ছিল।
আবুল কালাম আজাদসহ জামিনে থাকা ৫ আসামি আদালতে হাজিরা দেন। তবে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
ফলে চার্জশিট গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেন বিচারক। পরের বার শাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, সকল আসামির উপস্থিতিতেই চার্জ গঠনের নিয়ম ও আইন রয়েছে। তাই পাঁচ আসামি হাজির হলেও কারাগারে আটক থাকায় শাহেদকে আদালতে হাজির না করার কারণে চার্জ শুনানি হয়নি।
এ মামলায় স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে আছেন।
গত বছর আবুল কালাম আজাদসহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সময় অবৈধ পারিতোষিকবাবদ রোগী প্রতি ৩,৫০০ টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন করেছেন বলে চার্জশিটে অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।