বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:১৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ধ্বংসাত্মক কাজ করে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, গাছ কাটা, যেভাবে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কত মানুষকে যে হত্যা করেছে, হিসাব নাই। তখন পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে।’

পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সরকারপ্রধান বলেন, ‘পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে। আমার বিশ্বাস, জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।’

বিভিন্ন দুর্যোগের সময় পুলিশের সেবামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় পুলিশ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। যখন মানুষ আত্মীয়স্বজনের লাশ ফেলে গেছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ধ্বংসাত্মক কাজ করে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, গাছ কাটা, যেভাবে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কত মানুষকে যে হত্যা করেছে, হিসাব নাই। তখন পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে।’

পুলিশের জন্য দুটি হেলিকপ্টার কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রাতে পুলিশের সাহসী ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবার ছোট বোনের বাড়িতে যখন আক্রমণ করে, তখন আক্রমণকারীরা আমার ফুফা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার নাতি সুকান্তসহ সবাইকে হত্যা করে। গুলিতে আমার ফুফু আহত হন।

‘যখন এই খুনিরা আক্রমণ করে চলে যায়, তখন রমনা থানা থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এই আহত সদস্যদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর ফলে আমার ফুফু গুলি খেয়েও পঙ্গু অবস্থায় বেঁচে থাকে শুধুমাত্র পুলিশের সাহসী ভূমিকার জন্য। আমাদের বাসায় যখন আক্রমণ করা হয়, তখন এসবির এএসপি ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। খুনিরা যখন দোতলায় যেতে চায়, তখন তিনি সাহসীকতার সাথে বাধা দিয়েছিলেন।’

পুলিশের জন্য নেয়া সরকারের নানা উদ্যোগও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমরা যখন সরকারে আসি তখন পুলিশের বাজেট ছিল মাত্র ৪০০ কোটি টাকা। আমরা এটা ৮০০ কোটি টাকা করে দিয়েছিলাম। বাজেট যেমন বৃদ্ধি করেছি, রেশন বৃদ্ধি করেছি এবং আমাদের নারী পুলিশদের জন্য আরও ব্যবস্থা রেখেছি।

‘পুলিশ ট্রাস্ট ফান্ডের জন্য ৫ কোটি টাকা সিড মানি প্রদান করি, যাতে পুলিশের কল্যাণ হয়। পুলিশের জন্য স্টাফ কলেজ করে দিই প্রশিক্ষণের জন্য। পুলিশ সদস্যদের জন্য ঝুঁকিভাতা প্রবর্তন করি।’

তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশ গঠন করে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে আইন শৃঙ্খলা যাতে রক্ষা করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ২০০১ এ আমরা সরকারে আসতে পারিনি। ২০০৮ এ জয়লাভ করে সরকার গঠন করি। এরপর থেকে পুলিশের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করে গেছি। বেতন-ভাতা সবকিছু বৃদ্ধি করেছি। সেই সাথে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৮২ হাজার ৫৮৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করেছি।

‘পুলিশের জন্য নতুন ইউনিট যেমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, এন্টি টেররিজম, কাউন্টার টেররিজম, রংপুর ও ময়নসিংহ রেঞ্চ, রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করেছি। আমরা দুটি সিকিউরিট অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ার এয়ারপোর্টে একটি ও কক্সবাজারে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান গঠন করেছি। প্রত্যেকটা থানা যেগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল আমরা ভবন করে দিই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আইজিপি র‍্যাংক যেটা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, সামরিক শাসকরা এসে তা কেড়ে নিয়ে যায়। আমরা সরকার গঠনের পর আবারও আইজিপি র‍্যাংক ব্যাজ প্রবর্তন করি। আকাশপথে সক্ষমতা অর্জন করতে দুটি হেলিকপ্টার ক্রয়ের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

‘আগে যে জায়গাগুলোতে সীমিত আকারে ছিল, আমরা শতভাগ রেশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। চাকরিরত অবস্থায় যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে বা গুরুতর আহত হয় তাদের আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজারবাগে ১০ তলা ভবন করে পুলিশের জন্য আলাদা হাসপাতাল করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আরও হাসপাতাল করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

করোনার সময় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, যখন করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে, এই করোনার সময় মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। লাশ দাফন, যখন আত্মীয় স্বজন লাশ ফেলে চলে গেছে তখন পুলিশ বাহিনী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাশ দাফন করেছে। আমি এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

‘জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী আজকে দ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছে। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর