বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখন প্রতিষ্ঠিত হওয়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নিয়ে এখন কেন প্রশ্ন উঠছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নবীন আইনজীবীদের বরণ ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালে বেগম খালেদা জিয়াই র্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। র্যাবকে তখন অব্যাহতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের অনেক দেশ কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।
‘তারা যখন সহায়তা দিয়েছে র্যাব তো তখন থেকে কাজ করছে, তখন তো এ প্রসঙ্গগুলো আসে নাই। হঠাৎ এখন কেন আসছে, এটার পেছনে নিশ্চয়ই কিন্তু আছে।’
তিনি বলেন, ‘র্যাবের ভূমিকা নিয়ে আজ যারা কথা বলছেন, তারা আসলে চান এদেশ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হোক। মাদক ছড়িয়ে পড়ুক। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে এভাবে তারা ঢালাওভাবে কথা বলতে পারেন না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘র্যাব বাংলাদেশে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। সেই কারণে বাংলাদেশে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ আমরা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘যখন কোনো দেশ এগিয়ে যেতে থাকে, তখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি সেই দেশের পা টেনে ধরতে চায়। সেই দেশের পা টেনে ধরার জন্য তখন মানবাধিকারসহ বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। অথচ তাদের দেশে মানবাধিকারের কোন খবর নাই।
‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিখোঁজ হয়, গুলিতে মৃত্যুবরণ করে। সেগুলো নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কখনো বিবৃতি দেয় না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও এরশাদের নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটেছে। মানুষের ওপর সামরিক শাসন ও আইন জারি করে দেয়া হয়েছিল। আজকে সেই জিয়াউর রহমানের দল আইন, ন্যায় এবং গণতন্ত্রের কথা বলে। দেশে বহুবার গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের সময় অনেক সেনা অফিসার ও জওয়ানদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এডহক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক। আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ স¤পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন।