চট্টগ্রামে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শনি ও শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া ও আনোয়ারা উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লোহাগাড়াচট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার আধুনগর এলাকায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে টমেটোবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাকচালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, নিহত চালকের নাম কউছার আহমদ হৃদয়। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার দক্ষিণচর আবাবিল এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। তবে হেলপারের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পটিয়াপটিয়ার শ্রীমাই সেতুর পশ্চিম পাশে শনিবার সকাল ৭টার দিকে বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় রাজু চৌধুরী নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নিহত রাজু পটিয়ার হাইদগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- সানজানা, আবু আহম্মদ ও সালমা।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, আহতদের মধ্যে আবু আহম্মদকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আনোয়ারাআনোয়ারায় যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে আরমান হায়দার নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার ৬ নম্বর বারখাইন ইউনিয়নের সরকারহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরমান নগরীর ন্যাশনাল পলিটেকনিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা গ্রামের লোকমান হায়দারের ছেলে।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আকাশ দে ও ইমতিয়াজ মাহমুদ নামে আরও দুই শিক্ষার্থী। তারাও একই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী।
আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, রাত ১২টার দিকে বাঁশখালী থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ফিরছিলেন আরমান ও তার দুই বন্ধু। সড়কের তৈলারদ্বীপ সেতুর পুরাতন টোল বক্স এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন তারা। এর মধ্যে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আরমানের।
আনোয়ারা থানার ওসি জানান, আহত দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।