নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় কাকলী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য পিটিয়ে ও বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার হাসুয়ারি গ্রামে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেছেন কাকলীর বাবা আব্দুস সাত্তার। এতে তার স্বামী সুপল মিয়া, শাশুড়ি বেগম আক্তার ও দেবরসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ মামলার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই সন্দেহজনক। পুলিশ কাকলীর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে।’
২২ বছর বয়সী কাকলী কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। আড়াই বছর আগে একই উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের হাসুয়ারি গ্রামের সুপল মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
কাকলীর ভাই কামরুল হাসান বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে সুপল একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা দাবি করে আসছিল। আমরা টাকা দিতে পারছিলাম না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। কলহের জেরে কাকলী দুবার আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে আবার তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এসে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।’কামরুল আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকালেও কাকলীকে মারধর করে সুপল। একপর্যায়ে সুপল আমার মাকে ফোন করে টাকা দিতে বলে। দুপুরে গ্রামের লোকজন আমাদের ফোন করে কাকলীর মৃত্যু খবর জানায়। আমরা তাদের বাড়ি গিয়ে উঠানে মরদেহ দেখতে পাই।’
স্থানীয়রা জানান, কাকলীর মরদেহ উঠানে রেখে তার স্বামী, শাশুড়ি, দেবরসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন। কাকলী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন তারা।
কেন্দুয়া থানা পুলিশ মরদেহ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে কাকলীর বাবা আব্দুস সাত্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেছেন। যৌতুকের কারণে মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।কেন্দুয়া থানার ওসি বলেন, ‘কাকলীর মরদেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ঘটনার দিন রাতেই তার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের ধরার চেষ্টা করছি।’
ঘটনাটি খুবই সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।