বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভোটারের কাছে প্রার্থী খাটো কী, লম্বা কী?’

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:২৬

স্থানীয় লিটন মিয়া বলেন, ‘হামগো ভোটারের কাছে প্রার্থী খাটো কী, লম্বা কী? সাইজ দেহি তো ভোট দিবাইন নই। যোগ্য দেখিয়া ভোটটা দিমু।’

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোশারফ হোসেন মশু। এলাকায় তাকে নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা।

এই আলোচনার কারণ ২৬ বছর বয়সী মশুর উচ্চতা। ২৮ ইঞ্চির পর তার উচ্চতা আর বাড়েনি বলে জানান মশু।

তার বাড়ি ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগভান্ডার কদমতলা গ্রামে। নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই মশুর। যখন যে কাজ পান তাই করেন। সদর ইউনিয়নে আগামী ৩১ জানুয়ারির ভোটে তিনি ভ্যানগাড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, তারা মশুকে উচ্চতা দিয়ে নয়, মাপতে চান যোগ্যতা দিয়ে।

স্থানীয় লিটন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হামগো ভোটারের কাছে প্রার্থী খাটো কী, লম্বা কী? সাইজ দেহি তো ভোট দিবাইন নই। যোগ্য দেখিয়া ভোটটা দিমু।’

একই কথা বলেন রেশমা বেগম। তার কথা, ‘লম্বা-ভুঁড়িওয়ালা মানুষক তো ভোট দিয়া দেখছি। এবার খাটো মানুষ দাঁড়াইছে তাতে কী হইছে? যোগ্য ব্যক্তি দেহি ভোট দেমো (দেবো)।’

লিপি বেগম জানান, মশুর মা বেঁচে নেই। এতিম, দরিদ্র ছেলে। স্থানীয়রাই তাকে ভালোবেসে প্রার্থী করেছে। নির্বাচনি পোস্টার, লিফলেটসহ সব খরচ এলাকার মানুষই দিচ্ছে।

মো. তালেব বলেন, ‘একজন দরিদ্রের কষ্ট অন্য দরিদ্রই ভালো বোঝেন। তাই আমরা মশুকে মেম্বার প্রার্থী করেছি। এখন মানুষ যাকে ভালোবাসবে তাকেই ভোট দেবে।’

ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়ে মশু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব- এমন চিন্তা ছিল না। এলাকার মানুষই আমাকে ভোটে দাঁড় করিয়েছে। নির্বাচিত হলে জনসেবার মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’

মিশুকে হেয় না করে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতোই দেখছেন বলে জানান সদস্য পদে দাঁড়ানো আরেক প্রার্থী আব্দুল মোত্তালেব।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্য প্রার্থীরা তাকে হেয় বা ছোট করে না দেখে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবেই দেখছি। এখন ভোটাররা যাকে ভালবাসে ও যোগ্য মনে করে তাকেই ভোট দেবে।’

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিকের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সমান অধিকার আছে। সবাই বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর