বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাব্যসংকটে পদ্মা-যমুনার কার্গো জাহাজ

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০৯:৫৮

পদ্মা-যমুনায় নাব্যসংকটের কারণে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে। শতাধিক কার্গো জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়েছে মানিকগঞ্জ এলাকায়। ভোগান্তিতে পড়েছেন জাহাজচালক ও ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা বন্দর থেকে কার্গো জাহাজে করে সার, চিনি ও জ্বালানি তেল আসছে বাঘাবাড়ি, নগরবাড়ি, পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য।

তবে নাব্যসংকটের কারণে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের অন্বয়পুর এলাকায় জাহাজগুলোকে নোঙর করতে বাধ্য হচ্ছেন চালকরা।

পরে সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময় অপেক্ষার পর অন্য কোনো উপায় না দেখে অর্ধেক মাল আনলোড করে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।

মা-বাবার দোয়া কার্গো জাহাজের চালক মো. ইয়ামিন শেখ বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়া বাঘাবাড়ি যাইতেসিলাম। পাঁচ দিন সময় লাগছে মানিকগঞ্জ আসতে। নদীতে পানি কম থাকায় জাহাজ চরে ঠেইকা যায়। যার কারণে আরিচা ঘাটের কাছে নোঙর করসি। এইখানেও ৫-৬ দিন অপেক্ষা করসি। মনে হয় আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।’

অন্বয়পুরে আটকে থাকা এমভি পূর্ণিমা কার্গো জাহাজের চালক মো. নাঈম শেখ বলেন, ‘মালবোঝাই সব জাহাজ এইখানে নোঙর করে। এরপর সিরিয়াল অনুযায়ী ভোটগেট বা ট্রলারের মাধ্যমে অর্ধেক মাল পাঠানোর পর বাকি অর্ধেক মাল নিয়ে উত্তরাঞ্চলের দিকে রওনা দেই। তা না হলে জাহাজ চরে আটকা পড়ব। কারণ ওই দিকের খারি (জাহাজ যাতায়াতের জায়গা) খুব ছোট।’

উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ী সুলাল বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার যদি এই নদীগুলোর নাব্যসংকট দূর করে বা ড্রেজিং করে তাহলে আমরা সরাসরি মালামাল নিয়ে নগরবাড়ি যেতে পারব। এতে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সুবিধা হবে।’

শিবালয়ের সার্বে কোম্পানির স্কোর্ট অফিসার মোহাম্মদ শরিফ জানান, বাঘাবাড়ি, নগরবাড়ি এবং উত্তরাঞ্চলের জন্য বিভিন্ন মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম, মোংলা, খুলনা থেকে নিয়মিত মালবাহী কার্গো জাহাজ যায়।

বর্তমানে আরিচা-পাটুরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৭০টির মতো জাহাজ নোঙর করে আছে এবং আরও জাহাজ পথিমধ্যে আছে।

প্রতিটি জাহাজে ৮০০ থেকে ১২০০ টন মাল থাকে। কিন্তু নদীতে নাব্যতার কারণে এই জাহাজগুলো সরাসরি তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারে না।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জাহাজের চালক জানান, নাব্যসংকটের কারণে শিবালয়ের অন্বয়পুরে জাহাজ নোঙর করলে বিআইডব্লিউসির লোকজন গিয়ে মালামালের কাগজপত্র দেখেন। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও প্রতিটি জাহাজ থেকে ১ হাজার করে টাকা দিতে হয়। তা না দিলে ঝামেলার মুখে পড়তে হয়।

তা ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে আসতেও বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়।

তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের আরিচা কার্যালয়ের ড্রেজিং বিভাগের (এসিও) বেলায়েত হোসাইন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘নদীতে নাব্যসংকটের সমস্যা আছে ঠিকই। কিন্তু নোঙর করা জাহাজগুলো এই নৌরুটের না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। কারণ এই মৌসুমে এত বড় জাহাজ আরিচা চ্যানেলে চলতে পারবে না। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্যা বেশি হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর