বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি প্রহরী নিয়ে জমি দখলে ইউপি চেয়ারম্যান!

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০১:০৬

বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সরকারি প্রহরীকে নিয়ে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে নবনির্বাচিত এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত সোহেল রানা উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সম্প্রতি শপথ গ্রহণ করেন। নির্বাচনে বিরোধী সমর্থকদের দমন নিপীড়নের জন্যই তিনি এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

দখল করে যে স্থানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সে জমির কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে এর মালিকানা দাবি করছেন মজিবর রহমান নামের সাবেক এক ইউপি সদস্য। জমি দখলের বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে দুওসুও ইউনিয়নের সমির উদ্দিন কলেজের সামনের রাস্তার পাশের ওই জমিতে দেখা যায়, ইউনিয়নে কর্মরত ৯ জন প্রহরী পাহারা বসিয়ে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন চেয়ারম্যান সোহেল।

কথা হয় উপস্থিত প্রহরী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। ভবন নির্মাণের স্থানে পাহারা দেয়ায় কারণ জানতে চাইলে তিনি চেয়ারম্যানের আদেশের একটি কাগজ দেখান।

তিনি বলেন, ‘গত চার দিন ধরে আমরা এই ভবন নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করছি। ইউনিয়নের সব প্রহরীকে এখানে থাকার আদেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান। কেউ বাধা দিতে আসলে আমাদেরকে প্রতিহত করার নির্দেশনা দেয়া আছে।’

চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত কাগজে লেখা রয়েছে, খতিয়ান নম্বর ২৮৪, দাগ নম্বর ৮৭৮৮, ১৩ শতক জমির মধ্যে ২ শতক জমিতে ঘর নির্মাণের কাজে ইউনিয়নের সব গ্রাম পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্যে বলা হলো।

ইউনিয়নের সব প্রহরী এনে এভাবে ব্যক্তিগত কাজ করার ব্যাপারটি বেআইনি বলে মনে করেন দুওসুও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।

জমির মালিকানা দাবি করা মজিবর রহমান বলেন, ‘আমি এবার ইউপি নির্বাচনে সোহেলের বিরোধী প্রার্থী আনারস মার্কার মোকলেসুরের নির্বাচন করেছিলাম। তখন থেকেই তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত। নির্বাচনে জেতার পরেই আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। এখন শপথ গ্রহণের পরপরই আমার জমি দখলে ব্যস্ত হয়ে গেছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান।’

মজিবরের অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান সোহেল বলেন, ‘জমিটা আমি নিজের জন্যে দখল করছি না। আমার ভাগনি জামাই সৈয়দ আলী এই জমির মালিক। এক পক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে মজিবরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার নোটিশ গ্রহণ করেননি। বরং তিনি বলেছেন, আমাকে নাকি চেয়ারম্যান হিসেবে মানেন না। তাই সৈয়দ আলীর হক বুঝিয়ে দিতে আমি তাকে জমি দখল করে দিচ্ছি।’

এদিকে চেয়াম্যানের পাঠানো কোন নোটিশ পাননি বলে জানান সাবেক ইউপি সদস্য ও জমির মালিকানা দাবি করা মজিবর রহমান।

ইউনিয়ন পরিষদ ও পুরো এলাকা ফাঁকা করে প্রহরীদের ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান সোহেল বলেন, ‘আমি মনে করেছি সেখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই পাহারা বসানো হয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জমির মালিক দাবিদার চেয়ারম্যান সোহেলের ভাগনি জামাই সৈয়দ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক আমি। কিন্তু মজিবর রহমান আমার জমিতেই আমাকে কাজ করতে দিচ্ছিলেন না। চেয়ারম্যান আমার আত্মীয়। সেই সঙ্গে আমি তার ইউনিয়নের একজন নাগরিক। তাই আমি তার কাছে সাহায্য চেয়েছি।’

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর