বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রান্সজেন্ডার নারীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৫২

শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় তার মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক বাসায় ট্রান্সজেন্ডার এক নারীকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক নারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নারী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় তার মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মামলাটি আজই (শুক্রবার) হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মামলার আসামিদের দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন রিশু ও সাইমা নিরা। অন্যজন অজ্ঞাত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ট্রান্সজেন্ডার নারী একজন মেকআপ আর্টিস্ট। সে সূত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ১০ জানুয়ারি বিকেলে ওই যুবকের সঙ্গে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি-সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টের সামনে তার দেখা হয়। ওই যুবক কথার একপর্যায়ে জানান, তার স্ত্রী ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীর ভক্ত। স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তাকে তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করেন।

এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি ওই যুবকের কথা বিশ্বাস করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ৫ নম্বর সড়কের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক নারী ও আরেকজন পুরুষকে দেখতে পান।

ওই তিনজন ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এতে বাধা দিলে তিনজন তাকে মারধর শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। এ সময় তিনজন নিজেদের আইনের লোক পরিচয় দেন। তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলে জানান তিনি।

মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বলা হয়, না দিলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেয়া হবে।

পরবর্তী সময়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার দিকে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়।

এদিকে ট্রান্সজেন্ডার ওই ব্যক্তির অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের অভিযুক্ত নারী। একটি রেডিওতে আরজে হিসেবে কাজ করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার কখনও দেখা হয়নি। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।’

কোনো পরিচয় না থাকলে কেন তাকে ফাঁসানো হচ্ছে- এমন প্রশ্নে ওই নারী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য এমনটি করতে পারে। আর ওই ট্রান্সজেন্ডার যে মিথ্যাচার করছে, তার সব প্রমাণসহ আমার ফেসবুকে পোস্ট দেব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও জানাব।’

এ বিভাগের আরো খবর