রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খোলা রেখে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউট নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
শুক্রবার বিকেলে রাবি প্রশাসনের সভা শেষে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পান্ডের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস সীমিত পরিসরে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, চিকিৎসা, পরিষ্কার-পরিছন্নতাসহ জরুরি পরিষেবাও চালু থাকবে।
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দাপ্তরিক প্রয়োজন ছাড়া বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার জন্য বলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখার দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে হলে ফিরেছেন।
অবস্থান কর্মসূচি
এর আগে করোনার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাবি শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখার দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।
সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিকেল ৫টার দিকে জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেন। সিদ্ধান্ত অনুকূলে না এলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।কর্মসূচিতে রাবির ফলিত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের যে ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য মিটিং হবে৷ তা শুনে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। প্রায় দেড় বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। আমরা মাত্র ফার্স্ট সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়েছি৷ সামনে সেকেন্ড সেমিস্টার পরীক্ষা৷ এর মধ্যেই আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের টালবাহানা চলছে। নিঃসন্দেহে তারা শিক্ষা খাতকে নষ্ট করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন।